২০১২ সালে যশোর সদর উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল্লাহ ওরফে তিতুমীরকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স খারিজ ও আসামির আপিল মঞ্জুর করে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে এদিন আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সারোয়ার আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ।
আইনজীবী সারোয়ার আহমেদ বলেন, আমাদের বক্তব্য হলো- ভিকটিম আত্মহত্যা করেছে। কারণ তাকে দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে। সাক্ষীদের সাক্ষ্যও পরস্পরবিরোধী। এ কারণে মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আদালত আসামিকে খালাস দিয়েছেন।
Advertisement
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা: বুশরাকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন
তবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।
আবদুল্লাহ ওরফে তিতুমীর ওরফে তীতু যশোর সদর উপজেলার সুলতানপুর বাবুপাড়া এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে। ২০১১ সালে একই উপজেলার মোবারককাটি গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে সালমা খাতুনকে বিয়ে করেন আবদুল্লাহ। বিয়ের পর পালসার মোটরসাইকেল যৌতুক দাবি করেন তিনি।
দাবি মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন আবদুল্লাহ। ২০১২ সালের ৯ জুলাই ভোররাতে মারপিটের পর গায়ে কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে সালমাকে হত্যা করার অভিযোগ এনে সালমার বাবা যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।
Advertisement
আরও পড়ুন: দুই সপ্তাহের মধ্যে ফ্লাইওভারের দেওয়াললিখন-পোস্টার সরানোর নির্দেশ
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুল মান্নান শেখ ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর আবদুল্লাহ ও তার বাবাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে চার্জ গঠনের সময় বাবাকে বাদ দিয়ে আবদুল্লাহকে অভিযুক্ত করে বিচার শুরু করেন আদালত।
বিচার শেষে ২০১৭ সালের ১৭ মে আবদুল্লাহকে মৃত্যুদণ্ড দেন যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) অমিত কুমার দে। এরপর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি খালাস চেয়ে আপিল করেন আবদুল্লাহ ওরফে তিতুমীর।
এফএইচ/বিএ/এমএস