‘জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম’

ভাগ্য বদলের আশায় ঢাকা থেকে তুরস্কে যান বাংলাদেশি নাগরিক জামান। অনিয়মিত অবস্থায় আটক হন তুর্কি পুলিশের হাতে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তাকে ও অন্যান্য বাংলাদেশিদের ডিপোর্ট করা হয় ইরান সীমান্তে। এ যেন ভিন্ন যাত্রা, অন্য গন্তব্য!

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুরস্কে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের অনিয়মিত অভিবাসীদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো বা ‘ডিপোর্ট’ প্রক্রিয়ার জোরদার করেছে দেশটির সরকার।

আইন অনুযায়ী, আফগানিস্তান, সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা অনিয়মিত অবস্থায় আটক হলে তাদের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চার্টার ও নিয়মিত বিমানে তুরস্ক থেকে ফেরত পাঠানো হয়।

কিন্তু বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য তুরস্কে প্রয়োগ করা হয় ভিন্ন আইন। ২০২২ সালের শুরু থেকে অসংখ্য বাংলাদেশি নাগরিক তুরস্ক থেকে ইরানে বেআইনিভাবে ডিপোর্টের ব্যাপারে অভিযোগ করতে থাকেন।

অভিবাসীরা জানান, তুর্কি পুলিশের হাতে আটকের পর তাদের কাছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট আছে এটি বলার পরেও তাদের পাসপোর্ট ছিড়ে ফেলে দীর্ঘ নির্যাতনের পর ইরান সীমান্তে জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এমনই একজন ভুক্তভোগী, ২৫ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিক জামান। অভিবাসনের বৈধ বা অবৈধ পথের বিস্তারিত না জেনেই পরিচিত মানুষ ও দালালচক্রের ভুল তথ্যে সাড়ে সাত লাখ টাকার চুক্তিতে ঢাকা থেকে তুরস্কে যেতে চুক্তিদ্ধ হয়েছিলেন এই তরুণ। তিন ভাই-বোনের মধ্যে নিজে বড় ছেলে তিনি। রিকশাচালক দিনমজুর বাবার সংসারের হাল ধরার চিন্তা ছিল জামানের।

যেভাবে পৌঁছালেন তুরস্ক

টাকার বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হলেও কীভাবে গেলেন তুর্কি এই প্রশ্নের জবাবে জামান ইনফোমাইগ্রেন্টসকে বলেন, ঢাকায় দালালের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর বেশ কিছুদিন পার হলেও সরাসরি ঢাকা থেকে তুর্কির ভিসা করে দিতে ব্যর্থ হয় দালাল। এক পর্যায়ে আমাকে এবং আরও প্রায় ৭-৮ জনকে প্রথমে দুবাই নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

আরও পড়ুন: অথৈ সাগরে আল্লাহই ছিল ভরসা 

জামান বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ থেকে বিমানযোগে আমিসহ আরও ৭/৮ জন দুবাই যাই। সেখানে আমাদের প্রায় দুই থেকে তিন সপ্তাহ রাখা হয়। পরে আমাদের একটি ফ্লাইটে ইস্তাম্বুল পাঠানো হয়।

একটি দেশে গেলে কাজের অনুমতি ছাড়া কাজ করা যায় না এবং এটি অবৈধ। ইনফোমাইগ্রেন্টস ভুক্তভোগীর কাছে জানতে চায় এসব তথ্য না জেনে কেন পাড়ি জমালেন তুরস্কে।

উত্তরে তিনি জানান, দালালরা এবং আমাদের পরিচিত বেশ কিছু মানুষ জানিয়েছিল তুরস্কে অনিয়মিত অবস্থায় কাজে কোনো সমস্যা নেই। কয়েক বছর গেলে সেখানে অনিয়মিতদের বৈধতা দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে গিয়ে জানতে পারি এসব তথ্যের মধ্যে অনেক ভুল তথ্য ছিল।

অনিয়মিত অভিবাসী হিসেবে তুরস্কে চাকরি

সদ্য ঢাকা থেকে আসা জামান ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশিদের সঙ্গে এক বাসায় উঠেন। এক রুমে তিন থেকে চারজন ভাগ করে থাকতেন তারা। সেখানে অন্যান্য পরিচিতদের সহায়তায় গার্মেন্টসে চাকরি পেয়ে যান। পূর্ব অভিজ্ঞতায় কাজ পেতে অনেকটা সহজ হয় কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ।

জামান ব্যাখ্যা করেন, দালালের যে কথাটি মিলেছিল সেটি হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে তুরস্কে বৈধতা না থাকলেও গার্মেন্টস, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন খাতে খুব সহজে চাকরি পাওয়া যায়। অনেক টাকা খরচ করে আসায় আমি দ্রুত কাজ শুরু করেছিলাম।

তিনি জানান, গার্মেন্টসের কাজ ভালোই চলছিল। তুরস্কে সপ্তাহে পাঁচদিন দৈনিক ১২ ঘণ্টা করে কাজ করতে হত। তবে অনেকেই অতিরিক্ত অর্থ আয়ের জন্য ছয়দিনও কাজ করেন। সপ্তাহে আমাদের প্রথম দিকে ১২০০ লিরা বা ছয় হাজার টাকা অর্থাৎ মাসে ২৪ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হত।

মাসে থাকা খাওয়া বাবদ আমার ১০ হাজার টাকা খরচ হতো। তবে আস্তে আস্তে বেতন বেড়ে সপ্তাহে এক হাজার ৭০০ লিরা পর্যন্ত পেতাম। ওখানে আমি ছাড়াও আরও ১২-১৩ জন বাংলাদেশি কাজ করত। বাকিরা সবাই সিরিয়ার নাগরিক। ফ্যাক্টরিতে সর্বমোট ৮০ থেকে ৯০ জন কাজ করত।

আরও পড়ুন: সাগরপথে ইতালি : খাদ্যের অভাবে গেল ১৫ জনের প্রাণ 

তুরস্ক থেকে অনিয়মিত অভিবাসীরা প্রায়ই গ্রিস ও বুলগেরিয়া হয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করে থাকেন। জামান সেখানে থাকা অবস্থায় এমন কোনো উদ্যোগ নিয়েছিলেন কি না জানতে চায় ইনফোমাইগ্রেন্টস।

জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ এটা ঠিক যে অনেকেই গ্রিসে বা অন্যান্য পথে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তবে এসব পথে নিয়মিত পুশব্যাক ও নিহতের ঘটনা আমি ইনফোমাইগ্রেন্টসে ফেসবুক পেজে দেখতাম। নিয়মিত এসব তথ্য দেখে জীবনের নিরাপত্তা ভেবে গ্রিসে বা অন্য কোথাও প্রবেশের সাহস হয়নি। যদিও পরিচিত বেশ কয়েকজনকে সফল হতে দেখেছিলাম। আমার লক্ষ্য ছিল তুরস্কে বৈধতা নিয়ে ব্যবসা করা এবং একটি নিরাপদ ও সুন্দর জীবন গড়ে তোলা।

যেভাবে আটক হলেন তুর্কি পুলিশের হাতে

দালালরা জামানসহ অন্যান্য অভিবাসীদের জানিয়েছিল, তুরস্কে তারা কাজ করে গেলে এক সময় রেসিডেন্স পারমিট বা বৈধতা পাওয়া যাবে। কিন্তু তিনি এসে দেখতে পান সেখানে বৈধতা পাওয়া অসম্ভব। তারপর বিপুল টাকা খরচ করে আসায় তিনি কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। আশায় বুক বাঁধেন একদিন বৈধ হবেন।

এভাবেই চলছিল দিন। ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর, সোমবার সকালে কাজে যোগদানের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে রওনা দেন তিনি। পথে তুরস্ক পুলিশের অনিয়মিত অভিবাসন বিরোধী অভিযানের টহলের সামনে পড়ে যান জামান। আটক করা হয় তাকে এবং আরও বেশ কিছু অভিবাসীকে।

তিনি ব্যাখা করেন, আটকের শুরুতে পুলিশ বৈধ পরিচয়পত্র চাইলে আমি সেটি দেখাতে ব্যর্থ হই। এর ফলে অন্যান্য অভিবাসীদের সঙ্গে আমাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমাদের সঙ্গে থাকা ফোনসহ সব ব্যক্তিগত জিনিস নিয়ে নেওয়া হয়। পরে থানা থেকে বাসযোগে একটি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্যাম্পে আমাদের বেশকিছু নথিতে স্বাক্ষর দিতে বলা হয়। আমাদের এসব নথি পড়ারও কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। যদিও নথিগুলোর বাংলা অনুবাদ তাদের কাছে ছিল।

ইরানে ‘ডিপোর্ট’ প্রক্রিয়া

ইস্তাম্বুল থেকে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় বাসে জামানসহ অন্যান্যদের একটি অভিবাসী ক্যাম্পে নেওয়া হয়। সেখানে তারা বুঝতে পারেন তাদের ইরানে ডিপোর্ট করা হবে। পথে তারা বেশ কয়েকবার জানান তাদের কাছে বাংলাদেশি পাসপোর্টের ফটোকপি আছে। এটি শোনার পর তুরস্কের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাদের কাছে পাসপোর্টের ফটোকপি ছিল সেটি ছিঁড়ে ফেলে দেয়।

ক্যাম্পটি তুরস্কের ভান শহরের অদূরে অবস্থিত। সেখানে তাদের প্রায় সপ্তাহখানেক রাখা হয়। পরে সেখান থেকে তুর্কি সেনারা তাদের সীমান্তে নিয়ে যান।

জামান ব্যাখা করেন, ক্যাম্প থেকে আমাদের কুখ্যাত অপরাধীদের মতো হাতকড়া পরিয়ে একসঙ্গে বাসে তোলা হয়। মোট ৩০ জনকে এমনভাবে গাড়িতে তোলা হয়েছিল যেন আমরা বড় অপরাধী। আমাদের সঙ্গে একজন পাকিস্তানি ছিল এবং বাকিরা সবাই বাংলাদেশি। একটানা ৪৮ ঘণ্টা গাড়ি চলছিল। পথে মাত্র কয়েক মিনিট সময়ে আমাদের টয়লেটে যাওয়ার সুযোগ দিলো। একটা রুটি ও সামান্য শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছিল।

তিনি জানান, গাড়ি সীমান্তে থামার পর সবাইকে নামিয়ে তুর্কি সীমান্ত পুলিশের হাতে তুলে দেয় সেনারা। সীমান্ত পুলিশ আমাদের সবাইকে গোল করে এক জায়গায় বসিয়ে প্রচণ্ড মারধর শুরু করে। আমাদের বলা হয় যেন এই ‘ডিপোর্ট’ নিয়ে কারোর সঙ্গে কথা না বলি এবং আর কোনোদিন জীবনে তুরস্কে না আসি। আর তুরস্কে ফিরব না এটি বলে আমাদের সবাইকে বারবার ‘তওবা’ করতে বলা হয় ও কান ধরিয়ে অপমান করা হয়। অত্যন্ত অমানবিকভাবে লাথি ও আঘাত করা হয়। এমনকি বুটজুতা পরে আমাদের গায়ের ও পিঠের ওপর উঠে নির্যাতন করা হয়।

আরও পড়ুন: প্রবাসীর একবুক স্বপ্ন কখনও কফিনবন্দি 

তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত পুলিশ আমাদের সবাইকে ইরান সীমান্তের একটি কাটাঁতারের বেড়ার সামনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সবার ফোন ফেরত দেওয়া হয়। নভেম্বরের শেষের দিকে তখন হালকা তুষারপাত হচ্ছিল। সীমান্তে নিয়ে গিয়ে তিনটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে পুলিশ। গুলি ছোঁড়ার পর আমাদের সীমান্তের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

ইরান থেকে বাংলাদেশে ফেরত

ইরান সীমান্তে প্রবেশের পর জামানসহ অভিবাসীদের কারো গায়ে হাঁটার জন্য শক্তি ছিল না। একে অপরকে ধরে পাহাড়ি পথ বেয়ে নিরুদ্দেশ হাঁটতে থাকেন অভিবাসীরা। হাঁটার এক পর্যায়ে একদল লোক দেখতে থাকেন তারা।

জামান বলেন, এসব লোকেরা মূলত মাফিয়া। তাদের হাতে দেশি কিছু অস্ত্র ছিল। তারা ফোনে আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশি দালালের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। দালাল জানান এসব লোকেরা মাফিয়া তাদের জনপ্রতি দেড় লাখ টাকা করে দিলে তারা ছেড়ে দেবে। আমাদের একটি বাড়িতে রাখা হয়। বাংলাদেশি দালালরা আমাদের বাংলাদেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেন।

তিনি আরও জানান, যে যত দ্রুত টাকা জোগাড় করে দিতে পারবে তাকে দ্রুত ছেড়ে দিতে শুরু করে মাফিয়ারা। এসব মাফিয়াদের সঙ্গে বাংলাদেশি দালালদের সংযোগ থাকায় অভিবাসীদের জিম্মি করে টাকা আদায় অত্যন্ত সহজ। অনেক কষ্টে প্রায় সাতদিন পর আমার পরিবার আমার জন্য টাকা পরিশোধ করলে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

জামান বলেন, মাফিয়াদের টাকা দিলে তারা সীমান্ত অঞ্চল থেকে বেশ কয়েকটি গাড়ি পরিবর্তন করে তেহরানে পৌঁছে দেয়। পথে চেকপোস্ট এড়াতে কিছু জায়গায় হাঁটিয়ে আনা হয়। তেহরানে আসার পর আমরা বাংলাদেশ দূতাবাস তেহরান থেকে ছাড়পত্র বা কনস্যুলার পাসের জন্য আবেদন করি। পাসপোর্ট না থাকলে ভ্রমণের জন্য এই নথি বাধ্যতামূলক।

তিনি জানান, আবেদনের কয়েক সপ্তাহ পর আমি দূতাবাস থেকে ছাড়পত্র পেলে বিমানের টিকিট কিনে দেশে ফেরত আসার প্রক্রিয়া শুরু করি। এক পর্যায়ে ২৫ ডিসেম্বর আমি বিমানে চেপে নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে আসি।

‘বাংলাদেশের নাগরিক কিন্তু কোনো মূল্য নেই’

জামান ইনফোমাইগ্রেন্টসকে বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে শত শত বাংলাদেশিকে বেআইনি ডিপোর্ট করেছে তুরস্ক সরকার। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, তার কোনো মূল্য নেই। আফগান, সিরীয় সবাইকে তাদের দেশে সরাসরি ফেরত পাঠানো হয়। অনিয়মিত অভিবাসী হিসেবে দোষ করে থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়াও হোক কিন্তু এত নির্মম নির্যাতনের পর অন্য কোনো দেশে নাগরিকদের ডিপোর্ট করা হয় না।

তার মতে, নিয়ম অনুযায়ী তুরস্ক থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুমতি সাপেক্ষে ফেরত পাঠানোর নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশিদের জন্য কিছু অনুসরণ করা হয় না। দালালের খপ্পরে পড়ে আমার পরিবার ও আমি জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তিনি বলেন, আমার শত্রুকেও আমি বলব যেন জীবনে অবৈধ অভিবাসনের পথ বেছে না নেয়। এটি অত্যন্ত ভয়ংকর, দুঃসহ ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় ডেকে আনে। বাংলাদেশ সরকার ও তুরস্কের বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতি আমার অনুরোধ বাংলাদেশের এই অন্যায় ডিপোর্ট ও মাফিয়াদের হাতি বন্দি হওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধে যেন উদ্যোগ নেওয়া হয়। যেন আমাদের মতো অন্যদের আর কোনো হয়রানির শিকার হতে না হয়।

আরও পড়ুন: ভাগ্যের খোঁজে কাতারে, কর্মদোষে বন্দি ওরা 

তিনি আবেদন করেন, প্রত্যেক দেশের নাগরিকের তার দেশে ফেরত আসার অধিকার রয়েছে। তুরস্কে কাজের পরিবেশ বা অন্যান্য দিক নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু আটকের পর নির্মম অত্যাচার ও ইরানে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রথা দ্রুত বন্ধ হওয়া উচিত। নিরাপদে মায়ের কোলে ফেরত আসা প্রত্যেক অভিবাসীর অধিকার।

২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশিদের তুরস্ক ডিপোর্টের অভিযোগ নিয়ে তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালায় ও অভিবাসন দপ্তরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ইনফোমাইগ্রেন্টস। কিন্তু তুরস্কের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

*ভুক্তভোগীর অনুরোধে নাম পরিবর্তন করে ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে। সূত্র: মোহাম্মদ আরিফ উল্লাহ/ইনফোমাইগ্রেন্টস

এমআরএম/জিকেএস