মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ছয়জন।
Advertisement
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মুন্সীকান্দি, বেহেরকান্দি, ঢালিকান্দি, নোয়াদ্ধা ও লক্ষ্মিদিবি গ্রামে এ সংঘর্ষে ঘটে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনায় প্রকম্পিত হয়ে ওঠে ওই পাঁচ গ্রাম। বেশ কিছু ঘরবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চলে।
গুলিবিদ্ধ তিনজন হলেন- ফারুক হোসেন (৩০), প্রাণ মোল্লা (১২), সুমন মোল্লা (১৮)। অপর আহত ছয়জনের পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিপন পাটোয়ারীর লোকজনের সঙ্গে সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মহাসিন হক কল্পনার লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ করে মুন্সী-কান্দি, বেহেরকান্দি, ঢালিকান্দি, নোয়াদ্ধা ও লক্ষিদিবি গ্রামে হামলা চালায় রিপন পক্ষের লোকজন।
Advertisement
কল্পনা পক্ষের লোকজন প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে পাঁচ গ্রামে। ভাঙচুর চালানো হয় বেশকিছু ঘরবাড়িও। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে সংঘর্ষের বিষয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে দুপক্ষ।
নারী ইউপি সদস্য ডলি বেগমের স্বামী শওকত দেওয়ান বলেন, ‘দুপুরে রিপন চেয়ারম্যানের ছোট ভাই শিপন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে হঠাৎ করে গ্রামের নিরীহ মানুষের বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে।’
এ বিষয়ে রিপন পাটোয়ারী বলেন, ‘ঢালীকান্দি গ্রামে আমার এক সমর্থককে কল্পনার লোকজন মারধর করেছে। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এরজন্য কল্পনার লোকজন দায়ী।’
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, আধিপত্য নিয়ে গ্রামের স্থানীয় দুপক্ষের সংঘর্ষ ঘটে। খবর পেয়ে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কাউকে আটক করা হয়নি এখন পর্যন্ত। পুলিশের তৎপরতা চলছে। অভিযোগ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Advertisement
আরাফাত রায়হান সাকিব/এসজে/জেআইএম