নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। এসময় বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পাঁচ জন আহত হয়েছেন। ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতারা এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন খায়রুল কবির খোকন।
এদিকে, হামলার সময় গুলি বর্ষণের অভিযোগ এনে খায়রুল কবির খোকনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতারা। একই সঙ্গে খায়রুল কবির খোকনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে শিবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রদল নেতা আহত ফাহিম ও মাহিম।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রায়পুরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে নেছার উদ্দিনের জানাজা থেকে ফেরার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ইটাখোলায় গ্রামীণ হোটেলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত ছাত্রদল নেতারা জানিয়েছেন, খায়রুল কবির খোকন রায়পুরা উপজেলা বিএনপির সভাপতির জানাজা শেষে নরসিংদীতে ফিরছিলেন। পথে ইটাখোলা পৌঁছালে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত কর্মী সমর্থকরা তার গাড়ির গতিরোধ করেন। এ সময় তারা ছাত্রদলের কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে কয়েকজন ছাত্র খায়রুল কবির খোকনের গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে খোকনের সহযোগিরা আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেন। এরপর দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে পাঁচ জন আহত হন। আহতরা হলেন- পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতা শুভ, সোহাগ, মাইনুল, ফাহিম ও মাহিম।
এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় আহত ছাত্রদল নেতারা নরসিংদী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করেন। তারা দাবি করেন, খায়রুল কবির খোকন অস্ত্র দিয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেন। খোকনের নির্দেশে তার বাহিনীর লোকজন হামলা চালান।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, আহত ফাহিম ও মাহিম খায়রুল কবির খোকনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে শিবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এ ঘটনায় বিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য খায়রুল কবির খোকনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ করেন, ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতা মাইন উদ্দিনের নেতৃত্বে আমার গাড়িবহরে হামলা করা হয়। বাস্তবতা হলো ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার সময় আমি জেলে ছিলাম। কারও ইন্ধনে এসব হচ্ছে।
সঞ্জিত সাহা/কেএসআর