পথ ভেজানো সন্ধ্যার কামনাএসো তুমি আমি মিলে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করিলৌকিক কোনো বাসনায় না ফেরার মন্ত্র জপি বেফাঁস নিঃশ্বাসেজানালার কাঁচে সূত্র আঁকি বাষ্পিত ভালোবাসারধীরে ধীরে ফিলিং স্টেশনের মত সজ্জিত হোক আমাদের স্বপ্নগুলো...জলরঙা কোনো গতিরোধক পেইন্টিং জ্বলে উঠুক অমাবস্যার নীল রাতে এসো-তুমি আমি আর নীল রাত মিলে কামনা করি- পথ ভেজানো সন্ধ্যার...****কোড নম্বরহীন জীবনআজ অন্ধকারের ভাবনাগুলো বহির্গমনের সাহস করেছেবরফচাপা শব্দগুলো আলোর পৃথিবী স্নান করতে চায় তুমি জানো- স্নায়ুতন্ত্রের একেকটি স্বপ্ন জীবনের চেয়ে বড় বৃহৎ স্বপ্নগুলোর ফানুস উড়িয়ে বাসন্তী ছাড়াই কেটে গেল জীবনের কত্তোগুলো বসন্তবাসন্তী...স্বপ্ন দেখতে দেখতে কোড নম্বরহীন জীবন বড্ড ক্লান্তআমি আর কত স্বপ্ন দেখব; একজীবনে অনেক স্বপ্ন দেখা যায়- কিন্তু এক স্বপ্নে পুরো জীবন দেখা যায় না****অসুখপ্রতিদিন তোকে পড়তে পড়তে মরতেওতো রাজি ছিলামঅষ্টাদশীর শেষ প্রহরে- সুখপরীর পাঠ চুকিয়েকি এক অসুখ নিয়ে ফিরে এলাম...স্বেচ্ছামুত্যুর দাম্ভিকতায় ব্যর্থ হ’লোউদাস বিকালসুখবিছানায় অসুখ আমার নিত্য সাথীক্ষতগুলো প্রবল করে হুইসেল ডাকা রেলের সকাল...****এখন আর নিজের কথা বলি নাআমি এখন আর নিজের কথা বলি নাবলি... তার কথা... তার কথা... তার কথা...পূর্ণিমার উজ্জ্বল চাঁদটা কোনো এক মেরুতে ঘুরে গেলেজেলেরা দাঁড় চেপে নৌকো বেয়ে যায়যৌবনবতীরা রাতের নিরবতা ভেঙে সুখবিছানা খামছে ধরে কাতরায়...কামারশালার মুঠো মুঠো লবণপানি গায়ে আনে এক নিমগ্নতাপ্রগাঢ় অলৌকিক আরাধনায় একাগ্রতা ছুঁয়ে যায় ঈশ্বরের গায়েএই রাতেই ইয়র্কশায়ারের কবুতর বিক্রেতার কাছ থেকে বুমেরাং-পালিয়ে আসে ডিনের কাছেমায়াবতী যখন উপহার হয়ে যায় তখন উপহারেরও কিছু স্বপ্ন থাকেএকমুঠো স্বপ্নের পালক ছড়িয়ে আমিও রোজ চাঁদ দেখিতবু চাঁদের সাথে এখন আর নিজের কথা বলি নাবলি... তার কথা... তার কথা... তার কথা...****বিবর্তনের এই সময়েগ্রীলবিহীন সবুজ বাতায়নগুলো অরক্ষিতই থেকে যায় এই অরণ্যেইটভাটার উনুনগুলো বড় বেশি পরিবেশখেঁকো হয়ে উঠছে আজকাল;বিবর্তনের এই সময়ে ডুবসাঁতার আর গোসল করতে পুকুরে নামা হয় নাআকাশচুম্বী ভবনে বালতির সীমিত জলেই পরিপাটি হয় শৈবাল জমানো কংক্রিট পৃথিবী...প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখতে এখন আর পর্যটনে যাওয়া হয় নাহারানোর এই মাতাল আবহে ভূতুড়ে মিউজিয়ামগুলো হয়ে ওঠে যান্ত্রিক শহরের নাগরিক পর্যটন...এসইউ/আরআইপি