দস্যুমুক্ত হওয়ার পর এবার সুন্দরবনে বিষ (কীটনাশক) প্রয়োগ বন্ধে কাজ শুরু করেছেন সাংবাদিক মোহসীন-উল হাকিম।
সুন্দরবন দিবসে উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশন কার্যালয় এলাকা থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়।
এ নিয়ে জিউধারা ফরেস্ট অফিস থেকে বের হওয়া একটি শোভাযাত্রা ও বিশেষ প্রচারাভিযান চলে ওই এলাকায়। এতে বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ, ভিলেজ কনজারভেশন ফোরাম, ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের সদস্যসহ বননির্ভরশীল জেলে-বাওয়ালিরা অংশ নেন।
সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ দেওয়া বন্ধে এ প্রথম সুন্দরবন দিবসে চালানো প্রচারাভিযানে প্রধান অতিথি ছিলেন বনবিভাগের জিউধারা স্টেশন কর্মকর্তা মো. শাহজাহান ও বিশেষ অতিথি ছিলেন যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মোহসীন-উল হাকিম।
এ সময় বক্তারা সুন্দরবনকে বিষমুক্ত করার ক্ষেত্রে সবাইকে সজাগ থেকে বনবিভাগকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
বন কর্মকর্তা মো. শাহজাহান বলেন, সুন্দরবন দিবসে সুন্দরবনকে বিষমুক্ত করার প্রচারাভিযান চালানো হয়েছে। যাতে বন সংলগ্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতার পাশাপাশি বিষ প্রয়োগ থেকে সবাই বিরত থাকেন। এছাড়া দস্যুমুক্ত সুন্দরবন গড়ার কারিগর সাংবাদিক মোহসীন-উল হাকিম জিউধারা এলাকা থেকে বিষ প্রয়োগ বন্ধে প্রচারাভিযানসহ নানা কার্যক্রম শুরু করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে সুন্দরবনের জিউধারা স্টেশনের জিউধারা ও আমুরবুনিয়া এলাকায় বিষমুক্ত প্রচারাভিযান ও মাঠসভা হয়েছে। সেখানে আমরা বনবিভাগ ও সুন্দরবন নির্ভরশীলদের কাছে অতি প্রিয়জন ও পরোপকারী বন্ধু সাংবাদিক মোহসীন-উল হাকিম উপস্থিত থেকে বিষ প্রয়োগ বন্ধে সবাইকে সচেতন এবং এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।
সাংবাদিক মোহসীন-উল হাকিম বলেন, জেলেদের আহরণের মাছ ক্রেতারা দামে কিনে থাকেন, যদি তার কাছাকাছি দামও পেতেন তাহলে বিষ প্রয়োগ প্রথা চালু হতো না। একদিকে মাছের দাম কম পাওয়া অপরদিকে প্রচুর মাছের আশায় এক শ্রেণীর জেলেবেশী দুর্বৃত্তরা অধিক মুনাফার লোভে বিষ প্রয়োগের কাজ করছেন। বিষ বন্ধে এখন থেকেই এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হোক। সুন্দরবনের জিউধারা থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে পুরো বনজুড়ে।
তিনি আরও বলেন, যেভাবে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ও হরিণ শিকারীদের প্রতিহত করা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিষ প্রয়োগকারীদের প্রতিহত করতে হবে। এতে স্থানীয়দের সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি বনবিভাগকে সহযোগিতা করতে হবে। আর আইনি বিষয়টি বনবিভাগ তো দেখছেনই।
২০০৯ সাল থেকে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে কাজ শুরু করেন ঢাকার সাংবাদিক মোহসীন-উল হাকিম। তার প্রচেষ্টায় সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হয়েছে। এখন বিষ দস্যুমুক্ত করতে বনবিভাগের সঙ্গে কাজ শুরু করেছেন তিনি। সুন্দরবন দিবসেই তিনি বনবিভাগের সহায়তায় বননির্ভরশীলদের নিয়ে এ কাজ শুরু করেছেন।
আবু হোসাইন সুমন/এসজে/এএসএম