বাজার থেকে সংগ্রহ করা ভেজাল গুঁড়া দুধ ও আটা মিশিয়ে বানানো হয় আরও ভেজাল দুধ। সেই দুধ আবার প্যাকেটজাত করা হয় নামকরা ব্র্যান্ডের মোড়কে। এভাবেই ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার নাম দিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছিল ভেজাল গুঁড়া দুধ।
এ অভিযোগে চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানাধীন উত্তর কাট্টলীতে ‘এনজিএস ফুড প্রোডাক্টস নামে’র একটি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে কারখানার ম্যানেজার সাগরদেকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আরও পড়ুন: ভেজাল খাদ্য দেখলেই ৩৩৩ নম্বরে অভিযোগ
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন।
এসময় অভিযানে সহযোগিতা করেন বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তা ও পুলিশ। অভিযানে ২৫ কেজির দেড় হাজার বস্তা ভেজাল গুঁড়া দুধ গুদামে সিলগালা করে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: সব খাদ্যে বিষ, মানুষ যাবে কোথায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভ্রাম্যমাণ আদালত জানান, কিছু ভেজাল গুঁড়া দুধ ও সামা মিল্ক নামের মোড়কে আটা মেশানো গুঁড়া দুধ এবং হুই নামের আরেকটা পণ্য মিশিয়ে বানানো হচ্ছিল ভেজাল দুধ। আর এই দুধ ডানো ব্রান্ডের দুধের ব্যবহৃত প্যাকেটে ভরা হতো। এরপর তা ‘এনজিএস ফুল ক্রিম মিল্ক’ এবং ‘ফেয়ারলাইফ মিল্ক পাউডার’ নামে মোড়কজাত করে বাজারে বিক্রি করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: নামিদামি মোড়কে ভেজাল খাদ্য : ৬ জনকে জরিমানা
সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গুঁড়া দুধ একটি অন্যতম শিশুখাদ্য। তারা এই খাদ্য ভেজাল করে বাজারজাত করছে। প্রাথমিকভাবে কারখানার ম্যানেজারকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর দেড় হাজার বস্তার বেশি ভেজাল গুঁড়া দুধ গুদামে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এগুলোর স্যাম্পল পাঠানো হয়েছে বিএসটিআইয়ের ল্যাবে। ল্যাবের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইকবাল হোসেন/জেডএইচ/এএসএম