দেশজুড়ে

দেশে প্রথম উপজেলা হাসপাতালে ক্যামোথেরাপি সেবা চালু

দেশে প্রথম উপজেলা পর্যায়ে ক্যামোথেরাপি শুরু করলো প্রবাসীদের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত সিলেটের ‘বিয়ানীবাজার ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতাল। রোববার দুপুরে পার্শ্ববর্তী মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের ক্যান্সার আক্রান্ত নুরুন নেছাকে ক্যামোথেরাপি দেওয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর যাত্রা শুরু করেন। ক্যামোথেরাপি প্রদান করেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ডা. সাদউদ্দিন জায়গিরদার। হাসপাতালের গণসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, এখন থেকে এ অঞ্চলের রোগীদের আর রাজধানী কিংবা ভারতে যেতে হবে না এখানেই ক্যামোথেরাপি নিতে পারবেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতাল তাদের কার্যক্রম শুরুর পর থেকে বিভিন্ন ধাপে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। চিকিৎসা সেবাকে ২টি ধাপে বিভক্ত করে তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। প্রথম ধাপে হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্যান্সার রোগী সনাক্ত করেন। পাশাপাশি তারা ক্যান্সার সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেন।দ্বিতীয় ধাপে তারা ক্যান্সার হাসপাতালের সঙ্গে সকল রোগীর সেবা প্রদানের জন্য জেনারেল শাখাও চালু করেন। ক্যান্সার রোগীদের সেবা প্রদানের পাশাপাশি রোগীরা এখানে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়াসহ প্রসূতি সেবা এবং রোগী ভর্তি কার্যক্রম চালু করেন। ক্যান্সার রোগীকে প্রাধান্য দিয়ে তারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে রোগীদের চিকিৎসা সেবা শুরু করেন এবং জটিল রোগীদের ক্যামোথেরাপি দেয়ারও সকল ব্যবস্থা চালু করেন। মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের নুরুন নেছা ক্যান্সার আক্রান্ত হলে চিকিৎসকরা তাকে ক্যামোথেরাপি নেয়ার পরামর্শ দেন। পঞ্চাশোর্ধ এ রোগী চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিলেটের একটি হাসপাতালে ইতোমধ্যে ২টি ক্যামো নিয়েছেন। ক্যান্সার আক্রান্ত নুরুন নেছা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, এখান থেকেই চিকিৎসা গ্রহণ করে তিনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন। উপজেলা পর্যায়ে এই প্রথম ক্যামোথেরাপি চালুর বিষয়টিকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বড় ধরণের সাফল্য বলে মনে করেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. সাদউদ্দিন জায়গিরদার। ওই চিকিৎসকের মতে, প্রবাসীদের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এখান থেকেই এক সময় ক্যান্সার রোগের সব ধরনের চিকিৎসা প্রদান সম্ভব। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দরিদ্র মানুষদের চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তারা বিষেশজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগের পাশাপাশি সকল ধরনের প্রযুক্তি এখানে ব্যবহার করবেন। ছামির মাহমুদ/এমএএস/পিআর