খেলাধুলা

গ্যালারিতে কাকে খুঁজছেন বিরাট?

সম্পর্কের সমাধি হয়েই গেছে কয়েকদিন আগে। এমনকী, মধুচন্দ্রিমাকে হাড়িকাঠে তুলে এখন চলছে কাদা ছোড়াছুড়ি। বাংলাদেশে পা রাখার আগে মুম্বাইয়ে এক পার্টিতে বিরাট কোহলি নিজেকে ‘সিঙ্গল-সিঙ্গল’ বলে চিৎকারও করছিলেন, সেটা অনেকে দেখেছেনও। কারও কারও কাছে তো কোহলি আবার না কি বলেছেন, আনুশকা তাকে প্রচণ্ড রকম নিয়ন্ত্রণ করতে চাইত। ইংরেজিতে ‘কন্ট্রোলিং গার্লফ্রেন্ড’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। যদিও, অদ্ভুতভাবে নিশ্চুপ রইলেন আনুশকা। এখনও পর্যন্ত তার একটা প্রতিক্রিয়াই পাওয়া গিয়েছে- ‘প্রেম ভুলে এখন কাজ করছি।’ কিন্তু, এভাবেই কী একটা সম্ভাবনাময় সম্পর্ক শেষ হয়ে যেতে পারে? এই প্রশ্নই এখন উঁকি মারছে বিরাট-প্রেমীদের মনে। বিশেষ করে, মাঠের মধ্যে যখনই গ্যালারির দিকে মুখ ফিরিয়েছেন বিরাট, তখনই তার চোখে নাকি এক বিষাদ দেখতে পাচ্ছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। গত কয়েক বছর ধরেই ভারতের অধিকাংশ খেলায় গ্যালারিতে পরিচিত মুখ ছিলেন আনুশকা। বিরাটের সাফল্যে ভিআইপি গ্যালারিতে তার মুষ্টিবদ্ধ চিৎকার, চুমু ছুঁড়ে দেওয়া ভারতীয় ড্রেসিংরুমের কাছে ছিল নিত্য পরিচিত ছবি। গত কয়েক সিরিজ সেই ছবি আর কেউ দেখতে পাচ্ছেন না। শনিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বারবারই দেখা গিয়েছে যে, ফিল্ডিং বা ব্যাটিং-এ যখনই কিছু ঘটছিল, তখনই বারবার গ্যালারির দিকে গভীরভাবে তাকিয়ে ছিলেন বিরাট। হয়তো বোঝার চেষ্টা করছিলেন, জীবনের বদলে যাওয়া ছবিটাকে। মাপতে চেষ্টা করছিলেন দুই মানুষের মধ্যেকার সম্পর্কের ব্যবধানকে। এভাবেই প্রেমের অপমৃত্যু হয়! সত্যি! আবার জ্বপ্লনাও ছড়িয়েছে, আনুশকা বিরহে বিরাট গানও গাইছেন। শনিবারই বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনারের উদ্যোগে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর সেই অনুষ্ঠানে স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় দল ছিল ফুরফুরে মেজাজে। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে মঞ্চে উঠে বাংলাদেশের শিল্পী ফাহমিদা নবীর সঙ্গে গলাও মেলান কোহলি। কিন্তু গানটা শুনেই সবাই ভাবতে বাধ্য হয়েছে বিরাটের কণ্ঠে আনুশকার বিরহ এখনও রয়ে গেছে। বলিউডের বিখ্যাত তাজমহল সিনেমায় লতা মুঙ্গেশকরের গাওয়া গান ‘যো ওয়াদা কিয়া বো নিভানা পারেগা...’- গানটিই গাইলেন বিরাট। সে গান গাইতে গিয়ে কোহলির গলায় যেন উথলে উঠল আনুশকার সঙ্গে বিচ্ছেদ বেদনাও।আইএইচএস/এবিএস