সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার নারীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন। শুক্রবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘পারিবারিক ও যৌন সহিংসতার শিকার মেয়েদের বিচারের অধিকার’ শীর্ষক একটি কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এ আহবান জানান।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এর সমাধানে কেবল আইন করলেই চলবে না, সবাইকে দায়িত্বশীল ও সচেতন হতে হবেতিনি আরও বলেন, নারী নির্যাতন বন্ধে শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থানের দরকার। পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ-রাষ্ট্র সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। আশার বিষয় হলো, বাংলাদেশে শিক্ষার হার বাড়ছে। নারীর ক্ষমতায়নে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের অর্ধেকেরও বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী সবাই নারী। তৈরি পোশাক খাতের ৮০ ভাগ শ্রমিকই এখন নারী।প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশের নারীদের সমান অধিকার দিয়েছে সংবিধান। সেখানে নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও মর্যাদার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক আইনগুলোতে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে। নারীরা যেন সুবিচার পান, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল ও সচেতন হতে হবে।অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, সংবিধান নারী-পুরুষকে সমান অধিকার দিলেও অশিক্ষা, দারিদ্র্য বাংলাদেশের নারীদের ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা। এ দেশের সহিংসতার শিকার একটি মেয়েকে থানার পুলিশ থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে সংকট মোকাবিলা করতে হয়। পদে পদে সবাই বোঝানোর চেষ্টা করে যেন মেয়েটাই দায়ী।আন্তর্জাতিক উইমেন জাজেস অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ উইমেন জাজেস অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।