দেশজুড়ে

ঢাকায় নিয়ে দুই ছাত্রীকে অসামাজিক কাজে বাধ্য করা হয়

মানিকগঞ্জ থেকে নিখোঁজের চার দিন পর দুই মাদরাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। চাকরি প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ঢাকায় অসামাজিক কাজে বাধ্য করা হয়েছিল। এ ঘটনায় নুসরাত জাহান তানজিনা (২১) নামে মানবপাচার চক্রের এক নারী সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে নিজের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান।

উদ্ধার ছাত্রীদের মধ্যে একজন মাদরাসার ৯ম শ্রেণিতে এবং অপরজন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। গ্রেফতার নুসরাত সাটুরিয়া উপজেলা লেবু মিয়ার মেয়ে। তিনি অনেক দিন ধরে ঢাকায় চাকরি করেন।

পুলিশ সুপার বলেন, দুই ছাত্রীকে চাকরির কথা বলে ঢাকায় হৃদয় নামের এক ছেলের কাছে নিয়ে যান তিনি। সেখানে হৃদয় তাদের দিয়ে বিভিন্ন হোটেলে যৌনতায় বাধ্য করতেন। দুই ছাত্রীর পরিবার কাতের বাড়ি পাঠাতে নুসরাতকে চাপ দিতে থাকেন। তাতে কাজ না হওয়ায় থানায় অভিযোগ করেন এক ছাত্রীর বাবা।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের বিষয়টি নুসরাত হৃদয়কে জানায়। এরপর দুজনে সিদ্ধান্ত নেন দুই কিশোরীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেবেন। বুধবার সন্ধ্যার পর হৃদয় তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠিয়ে দেন। গোলড়া বাসস্ট্যান্ডে নামার পর পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। তাদের দেওয়া তথ্যে নুসরাতকে আটক করা হয়। তিনি জানান, হৃদয়ের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় তার। এরপর অভাবের কারণে ঢাকায় গিয়ে হৃদয়ের কথায় তিনি বিভিন্ন হোটেলে গিয়ে যৌনতায় লিপ্ত হতেন। ওই দুই ছাত্রীকেও তিনি যৌনতা পেশায় যুক্ত করতে হৃদয়ের কাছে পাঠিয়ে ছিলেন।

পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান বলেন, উদ্ধার হওয়া ছাত্রীরাও জানিয়েছে তাদের অসামাজিক কাজে বাধ্য করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। দুই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। আটক নুসরাতকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। হৃদয়কে গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে। এ চক্রটি গ্রামের সহজ সরল অপ্রাপ্ত নারীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে যৌনতায় বাধ্য করে। পরে দেশের বাইরে পাচার করে।

বি.এম খোরশেদ/এসজে/জিকেএস