বার্ধক্যজনিতসহ নানা রোগে আক্রান্ত ছুপিয়া খাতুন (৮১)। অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। তা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) অনুষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেন ছুপিয়া খাতুন।
দুপুর ১২টার দিকে পুত্রবধূকে সঙ্গে নিয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদহ ইউনিয়নের জোড়গাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসেন এ বৃদ্ধা। সেখানে দায়িত্বরত নারী আনসার সদস্যের কোলে চেপে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেন তিনি।
বৃদ্ধা ছুপিয়া খাতুন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদহ ইউনিয়নের জাহাপুর গ্রামের কালু মণ্ডলের মেয়ে।
সরেজমিন দেখা যায়, বৃদ্ধা ছুপিয়াকে দেখে দুজন নারী আনসার সদস্য সামনে এগিয়ে যান এবং তাকে কোলে করে ভোটকক্ষে প্রবেশ করেন। সেখানে দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সহযোগিতায় নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন এ বৃদ্ধা।
বৃদ্ধা ছুপিয়া খাতুন বলেন, ‘এই প্রথম ইভিএমে ভোট দিলাম। খুব ভালো লাগছে। আল্লাহ আর কতদিন বাঁচাবে জানি না। মনে হয় এটাই জীবনের শেষ ভোট দিয়ে গেলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনের ইচ্ছা পুত্রবধূকে জানিয়েছিলাম। সে ভ্যানে করে নিয়ে এসে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।’
তার পুত্রবধূ সাদিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার শাশুড়ি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিতসহ বিভিন্ন রোগে অসুস্থ। বয়সের ভারে হাঁটতেও পারেন না। ভোটের আগে চারদিকে মাইকে প্রচার-প্রচারণা শুনতে পেয়ে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। আমরাও মায়ের কথায় সম্মতি জানিয়ে ভোট দিতে নিয়ে এসেছি।’
জোড়গাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, অসুস্থ ও বয়স্কদের আগে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। বৃদ্ধা ছুপিয়া খাতুন দায়িত্বরত নারী আনসার সদস্যের কোলে চড়ে কক্ষে ঢুকে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ১৮টি এবং জীবননগর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৫৪টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
এসআর/জিকেএস