দেশজুড়ে

জয়পুরহাটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হচ্ছেন ২ জন

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে জয়পুরহাট সদর উপজেলার ৯ ইউপির ৫টিতে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। এদিকে, ২টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। তারা হলেন- ধলাহার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফয়েজ উদ্দিন ও দোগাছী ইউনিয়নে জহুরুল ইসলাম। অন্য ৭টিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী, বিএনপি ও স্বতন্ত্র মিলে ২৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে বিএনপির প্রার্থী নেই ৫টিতে। বিএনপির প্রার্থী না থাকা ইউনিয়নগুলো হলো- ধলাহার, দোগাছী, পুরানাপৈল, জামালপুর ও বম্বু।জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাট সদর উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১১ হাজার ৩৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬ হাজার ৪৪২ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৪ হাজার ৮৯৯ জন।৭টি ইউনিয়নে মনোনয়ন দাখিলকারীদের মধ্যে মোহাম্মদাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে আতাউর রহমান ও বিএনপি থেকে আব্দুল হামিদ দুলাল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম মিন্টু ও নার্গিস হক। এছাড়া পুরানাপৈলে আওয়ামী লীগ দলীয় খোরশেদ আলম ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নিখিল চন্দ্র মন্ডল ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আলম সাইফুল। ভাদসা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের হাতেম আলী ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী একে আজাদ ও বিএনপি প্রার্থী ইসমাঈল হোসেন।জামালপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ হাসানুজ্জামান মিঠু ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রাথী মোর্শেদ আলম সরদার। বম্বু ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোল্ল্যা সামছুল আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া, আতাউর রহমান ও এনামুল হক মন্ডল। এছাড়া আমদই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শাহানুর আলম সাবু, বিএনপির গোলাম রব্বানী, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ আলম দেওয়ান ও জাফর ইকবাল নাসির এবং চকবরকতে আওয়ামী লীগের শাজাহান, বিএনপির আনোয়ার হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুকুল সরকার এবং মামুনুর রশিদ তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।   জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মোত্তালেব নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নির্বাচনকে ঘিরে কোনো আতঙ্ক নেই এবং এ ব্যাপারে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।রাশেদুজ্জামান/এসএস/আরআইপি