আর্লিং হালান্ডকে কিভাবে থামাবে? প্রতিপক্ষ দলগুলো এ গবেষণা করেই হয়তো দিন-রাত পার করছে। তবুও তাকে থামানোর ফর্মুলা আবিষ্কার করতে পারছে না। শনিবার রাতে ইংলিশ এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বার্নলের বিপক্ষে মাঠে নেমে রীতিমত গোল উৎসবে মেতে ওঠে সিটিজেনরা।
এর মধ্যে আবারও হ্যাটট্রিক করেন আর্লিং হালান্ড। এ নিয়ে এবারের মৌসুমে ম্যানসিটির হয়ে ৬ষ্ঠ হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। শুধু তাই নয়, এরই মধ্যে ম্যানসিটির হয়ে ৪০ গোলের মাইলফলকও অতিক্রম করে গেছেন হালান্ড। বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ম্যানসিটিতে যোগ দেয়ার পর সব মিলিয়ে এখন তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে মোট ৪২ গোল।
এক সপ্তাহের মধ্যে পরপর দুটি হ্যাটট্রিক করলেন হালান্ড। সব মিলিয়ে করলেন ৮ গোল। সপ্তাহের মধ্যভাগেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগের ম্যাচে জার্মান ক্লাব আরবি লেইপজিগের বিপক্ষে একাই করেছিলেন ৫ গোল। সত্যিই নরওয়েজিয়ান এই ফুটবলার যেন মানুষ নন, একটি যন্ত্র। যার কাজই হলো শুধু গোল করে যাওয়া।
২২ বছর বয়সী এই ফুটবলার ম্যাচের ৩২ এবং ৩৫ তম মিনিটেই দুটি গোল করে ফেলেন, তার ট্রেডমার্ক গোল দিয়ে। এরপর ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে ম্যানসিটির হয়ে ৬ষ্ঠ হ্যটট্রিক পূরণ করেন তিনি।
হালান্ডের হ্যাটট্রিক পূরণ হওয়ার পর জোড়া গোল করলেন আর্জেন্টাইন তারকা হুলিয়ান আলভারেজ। ম্যানসিটির হয়ে বাকি গোলটি করেন কোল পালমার। সব মিলিয়ে গত এক সপ্তাহেই মোট ১৩ গোল করলো ম্যানসিটি এবং সে সঙ্গে এফএ কাপের সেমিফাইনালেও পৌঁছে গেলো তারা।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলারদের মধ্যে এক মৌসুমে ৪০ গোলের বেশি করা ৬ষ্ঠ খেলোয়াড় হলেন আর্লিং হালান্ড। তার আগে এক মৌসুমে ৪০টির বেশি গোল করেছেন রুড ফন নিস্টলরয় (৪৪টি), মোহাম্মদ সালাহ (৪৪টি), ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (৪২টি), অ্যান্ডি কোল (৪১টি) এবং হ্যারি কেইন (৪১টি)।
মৌসুমের এখনও যতটুকু বাকি রয়েছে, তাতে হালান্ডের গোল সংখ্যা নিশ্চিত ৫০ পার হয়ে যেতে পারে, তাতে সন্দেহ নেই।
প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ড গোলের মালিক অ্যালান শিয়েরার বলেন, ‘আমার মনে হয়, সে এবার ৫০ গোলের মাইলফলক পেরিয়ে যাবে। এমনকি ৬০টিও হতে পারে। সত্যিই পাগলাটে এক ফুটবলার।’
তিনি আরও বলেন, ‘হালান্ডই সেরা, সে হচ্ছে একটি গোলস্কোরিং মেশিন, সে বাঁচে এবং নিঃশ্বাস নেয় গোলের জন্যই।’
আইএইচএস/