চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় গম ও মশুর ডাল উৎপাদনে এবার মারাত্মক ফলন বিপর্যয় হয়েছে। উপজেলায় প্রথমবারের মতো এবার ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে গম এবং বৃষ্টি ও কুয়াশায় মশুরের ফলন বিপর্যয় ঘটে। বিঘা প্রতি গম এক থেকে দেড় মণ এবং মশুর ৩০ থেকে ৩৫ কেজি ফলন হওয়াতে চাষিরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। খরচের টাকা না ওঠায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৮৫০ হেক্টর জমিতে গম ও এক হাজার ৩শ` হেক্টর জমিতে মশুরের চাষ করা হয় এবং এর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৮৫ হাজার মণ গম ও এক লাখ ২১ হাজার ৮৭৫ মণ মশুর। সুবলপুর গ্রামের মশুর চাষি মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, তিনি এক বিঘা থেকে ৩০ কেজি মশুর পেয়েছেন। ফলন বিপর্যয় হওয়ায় মশুর চাষে তিনি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। একই কথা জানালেন, সুটিয়া গ্রামের গম চাষি আব্দুর রহমান।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ জানান, গমের শীষ বের হওয়ার পর বৈরী আবহাওয়ার কারণে দেশে প্রথমবারের মতো গমে ব্লাস্ট রোগ আক্রমণ করে। এ রোগ আগে সাধারণত ধানে হয়ে থাকতো। ইতিপূর্বে গমে কোনো দিন এ রোগ দেখা যায়নি। যার ফলে আক্রমণ বুঝতে আমাদের সময় লাগায় তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি। আর মশুরের দানা বাধার মুহূর্তে কুয়াশা ও আকস্মিক বৃষ্টির ঘটনা ঘটে। তিনি আরও বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ উপজেলায় এবার গম ও মশুরের ফলন অর্ধেকে নেমে এসেছে। ব্লাস্ট রোগ থেকে ক্ষেত রক্ষা করার পরামর্শ কৃষকদের প্রদান করা হচ্ছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। সালাউদ্দীন কাজল/এমজেড/পিআর