দেশজুড়ে

দেবরের লাঠির আঘাতে ভাবির মৃত্যু: মামলার আসামি ইউপি সদস্য গ্রেফতার

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় দেবরের লাঠির আঘাতে ভাবির মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রুহুল আমিনকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার রাতে উপজেলার শুরীরচালা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে সখীপুর থানা পুলিশ। মামলার প্রধান আসামি দেবর সালাম মিয়াসহ ছয়জন এখনো পলাতক।

গ্রেফতার রুহুল আমিন উপজেলার কাঁকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি কাঁকড়াজান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে উপজেলার শুরীরচালা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেবর সালাম মিয়ার সঙ্গে ভাবি জরিনা আক্তারের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সালাম মিয়া একটি লাঠি দিয়ে জরিনার মাথায় আঘাত করেন। গুরুতর অবস্থায় জরিনাকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে জরিনা মারা যান।

এ ঘটনায় জরিনার মেয়ে স্বপ্না আক্তার বাদী হয়ে সালাম মিয়াকে প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে সখীপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। গ্রেফতার রুহুল আমিনকে মামলায় ইন্ধনদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ট্রান্সফরমার চোর ধরিয়ে দিলেই মিলবে পুরস্কার

মামলার বাদী স্বপ্না আক্তার বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় সবাই মিলে আমার মাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। ইউপি সদস্য রুহুল আমিন ছিল খুনের ইন্ধনদাতা। আমি আমার মায়ের হত্যার বিচার চাই।

রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম। তিনি জানান, রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

আরিফ উর রহমান টগর/এমএইচআর