প্রবাস

এশিয়া কাপের ফাইনাল নিয়ে প্রবাসী বাঙালিদের ভাবনা

রোববার এশিয়া কাপের ফাইনালে জিতলে বাংলাদেশ পাবে প্রথম বড় কোনো শিরোপার স্বাদ। তাই ম্যাচটির দিকে উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে আছেন দেশ-বিদেশে বাংলাদেশি ক্রিকেট ভক্তরা। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে ঢাকা মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম ১৯ মার্চ-২০১৪ থেকে ৬ মার্চ-২০১৬। প্রায় দুই বছরের অপেক্ষার অবসানের আশায় দিন গুনছে বাংলাদেশ থেকে হাজার মাইল দূরে উত্তর আমেরিকার লাখো বাংলাদেশি। উত্তর আমেরিকা প্রবাসী এসব বাংলাদেশির আবেগ আনুভতিগুলো তুলে ধরা হলো এখানে।এখন সময় যুদ্ধ জয়েরসাইফুল আজম সিদ্দিকী, গাড়ি প্রকৌশলী, জেনারেল মটরস, যুক্তরাষ্ট্র  মার্চ মাস মানেই অধিকার আদায়ের মাস। বুক উঁচিয়ে যুদ্ধে যাবার মাস। যুদ্ধ থেকে জয় আদায়ের মাস। ২০১৪ সালের মার্চ মাসের ১৯ তারিখে মেলবোর্ন ক্রিকেট মাঠে যা ঘটেছিল তাতে সারা বিশ্ব স্তব্ধ হয়েছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেটদল বিদায় নিয়েছিল খালি হাতে। আমরা হারিনি, হেরেছিল ক্রিকেট। আমাদের বুকে হয়েছিল অনেক রক্তক্ষরণ। ওই রক্তক্ষরণ থামাতে আমাদের ক্রিকেট খেলোয়াড়রান যা দেখিয়েছিল তাতে বাংলাদেশিরা আজ গর্বিত। বিশ্বের সব দলের কাপুনি চলে আসে। এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট আনন্দে নেচে উঠবো। এ জয় হবে আমাদের কোটি প্রাণের উচ্ছ্বাসের। এই জয় হবে অহংকার চুরমার করার, লাখ শহীদের সম্মানে। আমাদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে।মেলবোর্নে গ্যালারিতে হয়ত লাল সবুজের গর্জন অনুপাতে কম ছিল। তবে এবার দেখাবো বাঘের গর্জন, তোমরা মাঠে গর্জে ওঠো, সারা বাংলার ১৬ কোটি গর্জন এভারেস্টে প্রতিধ্বনিত হয়ে কাঁপিয়ে দিবে সারা বিশ্ব। মিরপুর থেকে মিশিগান, স্টেডিয়াম থেকে ড্রয়িংরুম প্রতিক্ষণ থাকবে আমাদের দখলে।সৌম্য কিম্বা তামিম, আল- আমিন কিংবা তাসকিন, সাব্বির বা মুশফিক, সাকিব কিংবা রিয়াদ, যে কেউ জ্বলে উঠলেই প্রতিবেশির কাঁপুনি শুরু হয়ে যাবে। বিবিসি বাংলার সংবাদ শিরনামের মত বলছি ‘বাংলাদেশ দলকে উপেক্ষা করলে বুড়িগঙ্গায় যেয়ে পড়তে হবে।’এ জয়ে লেখা হবে ইতিহাস! মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড যে ইতিহাস লেখা হয়নি। রেকর্ড ভাঙা-গড়া আর রানের বন্যায় ভেসে যাবে প্রতিবেশীর দাম্ভিকতা। জয় হবে লাল সবুজের, জয় হবে বংলা মায়ের।বাংলার ক্রিকেট আনন্দের অফুরন্ত বহিঃপ্রকাশপ্রকৌশলী রিমন হাসান, রিসার্চ  অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, মেক্সিকো।এই সাড়ে চার মিলিয়ন মানুষের শহর গুয়াদালাহারা, মেক্সিকোতে আমার জানা মতে আমিই একমাত্র বাংলাদেশি। অনেক খুঁজলাম কিন্তু কাউকেই পেলাম না, ভারতীয় অনেক আছে আর কিছু পাকিস্তানিও আছে, কিন্তু বাংলাদেশি শূন্য । দেশের পরিবার বা বন্ধু আর আমেরিকার বাংলাদেশি বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ শুধু ফোনের মাধ্যমে। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে আজকাল দেশের সব খবরাখবর পাই ফেসবুকে। দেশের সবাই ভালো না খারাপ জানা যায় ফেসবুক দেখে। দেশের হৃদস্পন্দন শোনা যায় সবার ফেসবুক পোস্ট দেখে। সেই হৃদস্পন্দন সবজেয়ে জোরে শোনা যায় কখন? আর কখন সেই হৃদস্পন্দন এক তালে বাজে? যখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিজয়ী হয়। অনেক বিষয়েই আমরা বাংলাদেশিরা একমত হতে পারি না। সেটা হোক রাজনীতির বিষয়ে বা পহেলা বৈশাখ উদযাপন বা নিউ ইয়ার উদযাপন-এমনকি ঈদ উদযাপন বিষয়েও দেখেছি মতভেদ ! কিন্তু এক বিষয়ে সব বাংলাদেশি একইসাথে নির্দ্বিধায় আনন্দে মাতে, সেটা হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিজয়। এত এত পোস্ট, এত আনন্দের অফুরন্ত বহিঃপ্রকাশ শুধু বাংলাদেশ জিতলেই দেখা যায়। দেশে না থেকেও, দেশের মানুষ না দেখেও কিছুটা হলেও দূরত্বটা কম মনে হয়। বাংলাদেশের ক্রিকেট দল যখন খেলে তারা শুধু নিজের জন্যে খেলে না। রাস্তার খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, পতাক হাতে দু’বছরের শিশু থেকে শুরু করে চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা প্রবীন, হাজার হাজার মাইল দূরে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশি সবার জন্যে খেলে। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের প্রতিটা খেলোয়াড় এই কথাটা জানে, আর জানে বলেই তারা প্রতিটা ম্যাচ এ প্রাণ দিয়ে খেলে।মানসিক শক্তিতে জয় আমাদের হবেসৈয়দ মো. জাফরী আল ক্বাদরী (পি এইচ ডি), পাওয়ার ইলেক্ট্রনিক্স এনালাইসিস স্পেশিয়ালিস্ট্, মিশিগানজয় পরাজয় একটা ফলাফল হলেও খেলার মূল ব্যাপার হল কিছু প্রসেস। খেলার মাঝের সেই ছোট ছোট প্রসেসগুলো আমার চেয়ে আপনাদের খুব ভাল জানা। আমি চাই খেলায় ফলাফল যাই হোক বাংলাদেশের সব খেলোয়াড়রা সেই প্রসেসগুলো ঠিক ঠাক মত করার চেষ্টা করেছে সেটা দেখতে। নিজেদের এই সজাগ দৃষ্টি সবাইকে দেখাতে পারলে মানসিক শক্তিটা প্রকাশ পায় সাথে সাথে পেশাদারিত্বও ফুটে উঠে। আমাদের অধিনায়কের মত বাকি সবারও এটা বুঝতে হবে। বাংলাদেশ এখন আর যেন তেন দল নয়, সবার জন্য উদাহরণ, বিদেশে আমরা যারা থাকি তাদের জন্য এটা কত বড় প্রাপ্তি বলে বুঝানো যাবে না। ভারত-পাকিস্তানের নাগরিকেরা আমাদের এখন ক্রিকেটের আলোচনায় সমীহ করে কথা বলে। বুকটা ভরে যায় তখন, কৃতজ্ঞতায় চোখে জল আসে। ধন্যবাদ আপনাদের, সারা রাত খেলা দেখে দিনের বেলায় অফিসে গিয়ে ঢুলু ঢুলু চোখে মিটিং করা সার্থক আমার। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে শুভকামনা।উৎসব পাগল জাতির এশিয়া কাপ স্বপ্নমাহমুদুল খান (আপেল), কম্পিউটার স্পেশিয়ালিস্ট, মিশিগান এ ভূখণ্ডে বাঙালিসহ আরও ছোটখাট যে কটা জাতী-উপজাতী বসবাস করে সবাই মিলেই আমরা বাংলাদেশি আর বরাবরই জাতি হিসেবে বাংলাদেশিরা উৎসব পাগল জাতি। তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উৎসব করার মতো উপলক্ষ তেমন কিছু না থাকলেও জাতীয় উৎসবতুল্য বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবেই পালন করি আমরা। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালন করি নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব আর জাতীয় উৎসব যেমন ভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন ইত্যাদি পালন হয় জাতীয়ভাবে। এসব উৎসবে যেভাবে প্রাণের উচ্ছাস দেখা যায় সেটা সত্যিই বিশ্বে বিরল। উন্নত দেশগুলিতে যেখানে উৎসব পালন হয় ঘরোয়া ভাবে সেখানে আমরা সেটা পালন করি সম্মিলিত ভালো। জাতী হিসাবে আমরা পরিপূর্ন এবং সমৃদ্ধ একটি জাতি হলেও একটা অভাব আমাদের অনেকদিন থেকেই ছিলো, সেটা হলো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদের পরিচিতি এবং উৎসবের উপলক্ষ, যেটা পরিপূর্ণ করেছে আমাদের ক্রিকেট দল। এবারের এশিয়া কাপের শুরুটা হয়েছিলো হারের মধ্যেদিয়ে, তাই বলে আশা ছাড়িনি, পরবর্তীতে বাকি সবাইকে হারিয়ে বীরের বেশেই ফাইনালে এসেছি। তবে প্রথম হারটা কেনো যেনো মনে হচ্ছে প্রতিপক্ষকে সাহস যোগানোর, ফাইনালে এসে হিসেব পূর্ণ করার সুপ্ত বাসনা নিয়ে। এসব খেলায় স্বাভাবিক আমেজের পাশাপাশি প্রতিপক্ষ যদি হয় ভারত বা পাকিস্তান তাহলে তো কথায় নেই, সেটা হয়ে ওঠে আমাদের প্রেস্টিজ ইসু, এই দুই দলের সাথে বরাবরই হিসেব আমাদের আলাদা, এরা যেমন আমাদেরকে একটু টেরা চোখে দেখে, ঠিক তেমনি আমরাই এদের দিকে গরুচখা দৃষ্টিতে দেখি। টিম হিসাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম এখন আর আন্ডার ডক নয়, এরা এখন প্রবল প্রতিপক্ষ! প্রতিপক্ষ ভারত র্যাঙ্কিংএ অনেক উপরে থাকলেও খেলা মাঠে বাংলাদেশের বিপরীতে একদমই বিড়ালের আচরন করে। রাজাদের সিংহাসনচ্যুত করবোপ্রকৌশলী মোহাইমেন হারুন, ফোড মোটর কোম্পানী ও ক্রীড়া উদগ্যতা, টোরোন্টো, কানাডা      আশা রাখি, আমরা T20 রাজাদের সিংহাসনচ্যুত করবো। বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্য আমাদের উদ্বেলিত করছে। জয় হোক তোমাদের, এবার কেবল সামনে এগিয়ে যাবার পালা। আমাদের হিংস্র বাঘদের শুভকামনা করছি! আমরা প্রস্তুতইথার মজুমদার, রেজিস্টার্ড রেস্পিরেটরী কেয়ার প্র্যাক্টিশনার, নিউইয়র্কহারলেও বাংলাদেশ, জিতলেও বাংলাদেশ টাইগার টিমের অন্ধ সমর্থক  অতিরিক্ত চাপ নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। টি২০ এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব হাতছানি দিচ্ছে বাংলাদেশকে। তোমাদের মত আমরাও প্রস্তুত। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের (ম্যাশ বাহিনী) সুস্থতা ও সফলতা কামনা করছি।গর্জে ওঠো টাইগার্সরায়হান শেখ, স্টুডেন্ট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, কুঈন কলেজ, নিউইয়র্কবিজয়টা কখনই সহজ ছিল না। তবুও ৭১ এ আমরা বিজয় পেয়েছি, ইনশাল্লাহ এবারও জয়ের হাঁসিটা আমরাই হাসবো। এখনি সময় জলে ওঠার, গর্জে ওঠো টাইগার্স।আমরা থেমে যেতে চাই নাশামস রিয়াজ, আমেরিকান ফিজিসিয়ান সাইন্টিস্ট, মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি, মিশিগানছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি মাঠে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর আমাদের উপর ছড়ি ঘোরানো। তাদের তুলনায় একেবারেই ক্ষুদ্র দেশ হওয়ায় আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে শুধুমাত্র একটি ক্ষেত্র ছাড়া- ক্রিকেট। বিগত পাঁচ বছর যাবত তোমরা আমাদের দেখিয়েছ যে অধিনায়কত্ব থেকে শুরু করে ব্যাটিং বোলিং ফিল্ডিং, তোমরা ক্রিকেটের সকল শাখায় অসাধারণ । বিশেষত আমেরিকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষের আলাপচারিতার সময় ক্রিকেট আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতেই থাকে। তোমাদের প্রতিটা জয় আমাদের পুরো পৃথিবীর সামনে শক্তিশালী এবং গর্বিত অনুভব করায়। এশিয়া কাপের ফাইনাল এ পৌঁছানো আমাদের জন্য অবশ্যই সম্মানদায়ক। কিন্তু আমরা থেমে যেতে চাই না। তোমরা এই এশিয়া কাপ ২০১৬ এর ফাইনাল জিতে আমাদের ট্রফি উপহার দিবে এই শুভকামনা করছি। চল বাংলাদেশ… খেলবে আমার দেশ। সাহসী প্রজন্মের প্রতীকপ্রকৌশলী জাকিরুল হক, জেনারেল মটরস ও প্রেসিডেন্ট, আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশান অফ বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার এন্ড আকিটেক্ট       বাংলাদেশ ক্রিকেট দল প্রবাসীদের জন্য এক আনন্দ ও গর্বের আধার, এরা আমাদের সাহসী প্রজন্মের প্রতীক। আমার ত্রিশ বছরের প্রবাসী জীবনে এমন দিনের কল্পনা কয়েক বছর আগেও করিনি ।এখনো মনে আছে, আমাদের স্কুল জীবনে শুধু ব্রজেন দাস, নিয়াজ় মোরশেদ এদের বাইরে গর্ব করার মতো কিছু খুজে পেতাম না. এখন মাশরাফি, সাকিব, তামিমদের নিয়ে গর্ব করি।বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে এশিয়া কাপের চলমান আসর থেকে বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান, শ্রীলাঙ্কা। এশিয়া কাপ টি-২০ টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে লাল-সবুজের জার্সি পরে দেশের মাটিতে খেলবেন মাশরাফিরা। দূর পরবাস থেকে আমরা থাকব তোমাদের সাথে। এবার আমাদের চ্যাম্পিয়ন হবার পালা। বিজয় আমাদের, আনন্দ আমাদেরডি এম নূর রুহুল আলম, গাড়ি প্রকৌশলী, জেনারেল মটরসজীবনের সফলতা কত বড় ? যাকে পেতে হবে বিন্দু বিন্দু করে, যাকে সাধনা করতে হবে নিশ্বাসে প্রশ্বাসে,যাকে সাজাতে হবে কল্পনাতে মনের মাধুরী মিশানো রঙে। আমারা জীবন সাফল্যের মস্তকে দাঁড়িয়ে ভারত নাট্যম নাচতে চাই, তৃষ্ণার্ত পথিকের বাকুলতায় তাকে এক গ্লাস  রূহ আফজা বানিয়ে এক নিশ্বাসে পান করতে চাই, ক্রোধে অন্ধ হয়ে হাতের কাছে পাওয়া মূল্যবান তৈজস পত্র ভেবে জমিনে আঁচড়িয়ে টুকরো টুকরো করে ফেলতে চাই ।বাঘ গুলোর আবার ঘুম ভেঙেছেরাহাত খান, গাড়ি প্রকৌশলী, ফোড মোটর কোম্পানী, মিশিগান       আমাদের ঢাকার বাসাতে একটা পুরাতন ভায়োলিন ছিল। সেই ধুলো ধরা বাদ্যযন্ত্র যে কতটুকু স্মৃতিভরা ছিল আমার ধারনাই ছিল না। যখন প্রথম টিভি তে ভায়োলিন বাজানো দেখলাম, তখন খুব জানতে ইচ্ছে হল, কার এই ভায়োলিন, কেন পরে আছে এই বাসায়। একদিন কৌতূহল আর ধরে রাখতে পারলাম না। জানতে পারলাম... দিনে স্টেনগান আর রাতে তাঁর ভায়োলিন। একই হাতের কাজ। কে জানে কত শত্রু বাহিনির রক্তে রঞ্জিত ছিল সেই সূক্ষ ভায়োলিন এর হাত। সে আমার ছোট কাকা। কতবার যেন সেই মনুষত্বকে বাদ্যযন্ত্রের আকিদায় স্নান করাতে হতো। ঘুমন্ত এক বাঘ, তার থাবাগুলো লুকিয়ে ছিল মনুষত্বের আড়ালে। তাই হয়ত ওরা ভেবেছিল এদেশের জনগন বেশ দুর্বল, দেখতে আবার খাটো, চামড়াটাও ময়লা, কেমন কুৎসিত, ওদের মানুষ হবার যোগ্যতা কে দিল? তবে বাঘকে বিচার করতে এসে সেই অমানুষরা অনেক বড় একটা ভুল করে ফেলেছিল। ভুলের ক্ষতিপুরন ছিল ওদের রক্ত!!! সেই বাঘগুলোর আবার ঘুম ভেঙেছে। এবার একটু ভিন্ন বাদ্যযন্ত্র। এর নাম ক্রিকেট।এআরএস/আরআইপি