দেশজুড়ে

বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ : খোলা আকাশের নিচে পাঠদান

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চামুশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সবকটি ভবনের কক্ষে ফাঁটল ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। তিন বছর আগে স্থানীয় প্রশাসন পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষকেরা পাঠদান অব্যহত রেখেছেন। এতে করে শিক্ষার মান ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম এবং দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে।১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে জাতীয়করণ করা হয়। এলজিইডি বিভাগ ১৯৯৩-৯৪ অর্থ বছরে বিদ্যালয়ের তিনটি কক্ষ র্নিমাণ করে। এ কক্ষগুলোর মধ্যে একটি অফিস ও দুইটি শ্রেণি কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু দেড় বছর পরেই ভবনগুলোয় ফাঁটল দেখা দেয় এবং পরবর্তিতে তা বাড়তে থাকে। তিন বছর আগে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী জিয়াউল বাসেত ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনটি ভবনকেই ঝুঁকিপূর্ণ বলে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। পরিত্যক্ত ঘোষণার পর থেকে শিক্ষকেরা শিশু শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি এড়াতে বিদ্যালয়ের মাঠে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করে আসছেন। খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করায় শিশু শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় অমনোযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে বিদ্যালয়টির পড়ালেখার মান দিন দিন নিম্নমুখি হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মনোযোগী করতে স্থানীয়রা বাঁশের চাটাই দিয়ে দুইটি অস্থায়ী কক্ষ নির্মাণ করে ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করে। কয়েক মাসের মধ্যে সেটিও ঘুণ ধরে ভেঙ্গে পড়ে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেন জানান, বিদ্যালয় ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণার পর সরকারের বিভিন্ন দফতরে একাধিক বার আবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি। ভবন ফাটল ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় জীবন বাজি রেখে শিশু শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে খেলার মাঠে পাঠদান করা হচ্ছে। সামনে বর্ষ মৌসুম তাই দ্রুত ব্যবস্থা না করা হলে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করা সম্ভব হবে না।এ ব্যাপারে ভোলাহাট উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন জানান, বিদ্যালয়টির ভবন র্নিমাণের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।মোহা. আব্দুল্লাহ/এআরএ/আরআইপি