বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর কার্যালয় ও ১২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং অন্তত ১৫ কর্মী-সমর্থককে কুপিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে। শনিবার দুই দফা হামলায় বিদ্রোহী প্রার্থী মীর মাসুদ উদ্দিনের ১৫ কর্মী আহত হন বলে অভিযোগ করা হয়।আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মীর মাসুদ অভিযোগ করেন, দুপুরে নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম হাফিজ মৃধার কর্মী-সমর্থকরা মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে নলচিড়া বাজারে তার প্রতীক আনারসের নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় অফিসে থাকা তার ৫ কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়।সন্ধ্যায় আনারস মার্কার কর্মীরা মোটরসাইকেলের প্রচার বহর নিয়ে পিঙ্গলাকাঠি বাজার অতিক্রমকালে দ্বিতীয় দফায় তাদের উপর হামলা চালায় নৌকার সমর্থকরা। এ সময় তাদের অন্তত ১০ জনকে কুপিয়ে-পিটিয়ে আহত করে তারা। ভাঙচুর করে তাদের বহরের ১২টি মোটরসাইকেল। এদের মধ্যে তিনজনকে শেরে বাংলা মেডিকেল পাঠানো হয়েছে।আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম হাফিজ মৃধা প্রতিদ্বন্দ্বীর কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আনারস প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীরা মোটরসাইকেল মহড়া নিয়ে পিঙ্গলাকাঠি বাজারে তার দুই কর্মী মধু ও আরিফকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় বাজারের ব্যবসায়ী এবং স্থানীয়রা তাদের পাল্টা ধাওয়া করে।গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন মিলন জানান, পিঙ্গলাকাঠি বাজারে আমজনতার ধাওয়া খেয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীদের ফেলে যাওয়া ১১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ৩ জন এবং ছোটাছুটিতে আরো কয়েকজন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এদিকে একই ইউনিয়নে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রতীকের প্রার্থী মির্জা সেকেন্দার আলম জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার সমর্থকদের কাছ থেকে পোস্টার ছিনিয়ে এবং সাটানো পোস্টার ছিড়ে ফেলে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী গোলাম হাফিজ মৃধার কর্মীরা।অন্যদিকে, একই উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামে সন্ধ্যায় বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আকন সিদ্দিকুর রহমানের প্রচারমাইক ঢুকতে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী নূরে আলম সেরনিয়াবাতের কর্মী ইদ্রিসের বিরুদ্ধে।এছাড়া উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেন বাবুল জানান, তার সমর্থক আ. জলিল মিয়া পোস্টার নিয়ে বাটাজোর পুলিশ ক্যাম্পের পিছনে হরহর এলাকায় পৌঁছলে নৌকা মার্কার প্রতীকের প্রার্থী আ. রবের ছেলে রুবেল হাওলাদারের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এসময় আ. জলিলকে মারধর করে পোস্টার ছিনিয়ে নিয়ে ছিড়ে পানিতে ফেলে দেয়া হয়।এদিকে, খাঞ্জাপুর ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থীর প্রচার মাইক ঢুকতে বাধা এবং দুই প্রার্থীর পোস্টার ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়ের অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন ওসি মো. আলাউদ্দিন মিলন।সাইফ আমীন/বিএ