স্বাস্থ্য

ক্যান্সার হলেই মৃত্যু এ ধারণা ঠিক নয়

‘আমি ক্যান্সারকে ভয় পাই না। গত ২৩ বছর ধরে ক্যান্সারকে সঙ্গী করে চলেছি। প্রতিনিয়ত মনে হয় বুকের ভেতর প্রবেশ করতে ক্যান্সার যেন কড়া নাড়ে। আমি মনে মনে বলি, খুলব না দরজা, এখনও অনেক কাজ রয়েছে বাকি। আগে সব কাজ শেষ ইউক, তখন যা খুশি করো।’ শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর ডা. শহীদ মিলন হলে ক্যান্সার প্রতিরোধ ও গবেষণা কেন্দ্র (সিসিপিআর) এর উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় ক্যান্সার সম্মেলন-২০১৬ এর ক্যান্সার বিজয়ীদের জন্য জীবনের অভিজ্ঞতা ও গল্প পর্বে ক্যান্সার সারভাইবার সাংসদ কাজী রোজী এভাবেই প্রায় দুই যুগ ধরে ক্যান্সারকে সঙ্গী করে জীবনচলার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ক্যান্সারমুক্ত হলেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এখনও প্রয়োজনীয় ওষুধসেবন করে চলেছি, ভবিষ্যতে চলবো। যারা ক্যান্সারে আক্রান্ত তারা প্লিজ ভয় পাবেন না। ক্যান্সার হলেই মৃত্যু এ ধারণা এখন সঠিক নয়। দেশে বসেই ক্যান্সারের সুচিকিৎসা সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন। কাজী রোজী বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। অনেক টাকা লাগে। একেকটা ক্যামো দিতে প্রচুর টাকা লাগে। কারো ৫টা কারো ১০টা লাগে আবার কারো বা আরো বেশি লাগে। কেমো চিকিৎসা ছাড়াও রেডিওথেরাপি, বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়। ক্যান্সারের চিকিৎসায় যেহেতু টাকা পয়সা গুরত্বপূর্ণ তাই এ রোগটি যেন না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, ক্যান্সার একেবারে নির্মূল হয় না। তার মতে ক্যান্সার ভাল হলেও ওষুধ চালিয়ে যেতে হয়। তিনি নিজে গত ২৩ বছর ধরে ওষুধ সেবন করছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন বলে জানান। গাজিপুরের বাসিন্দা রাবেয়া বেগম নামে আরেকজন ক্যান্সার সারভাইভার বলেন, তিনি গত তিন বছর ধরে ব্রেস্ট ক্যান্সারে ভুগছেন। চিকিৎসা নিয়ে এখন ভাল আছেন। শাহিদা আক্তার নামে আরেক সারভাইভার বলেন, রাত হলে সন্তানরা মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। বার বার এসে জিজ্ঞাসা করে আম্মা তুমি ভাল আছো তো, কোনো সমস্যা হচ্ছে না তো? আমি ওদের বলি, যা তোরা ঘুমা, বাঁচিয়ে রাখার মালিক আল্লাহ। এমইউ/জেএইচ/এমএস