নাটোরের বড়াইগ্রামে প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ শেষে উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বাড়িতে আত্মগোপন করেন এক ব্যক্তি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, গত সোমবার বিকেলে ওই ইউনিয়নের একটি গ্রামের মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণীকে (২০) মাঠে ছাগল পাহাড়া দিতে বলে নামাজে যান মা। এ সুযোগে একই এলাকার অহিদুল ব্যাপারী (৪২) ওই তরুণীকে মুখ চেপে ধরে পাশের ভূট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এতে তরুণীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। নামাজ শেষে মা গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তরুণীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এদিকে, ধর্ষণ শেষে নিজেকে বাঁচাতে স্থানীয় মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলালের বাড়িতে আত্মগোপন করেন অহিদুল ব্যাপারী। এ ঘটনায় তরুণীর ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে অহিদুলকে আটক করে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলাল বলেন, আমার বাড়ি থেকে এভাবে কাউকে আটক করায় আমার মান-সম্মান নষ্ট হয়েছে। পুলিশ আমাকে জানালে আমি তাকে অন্যত্র চলে যেতে বলতাম এবং সেখান থেকে আটক করতে পারতো।
বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খুরশিদ আলম বলেন, অভিযুক্ত শক্তিশালী পুরুষ হওয়ায় এবং জোর-জবরদস্তি করায় তরুণীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এছাড়া ৯টি সেলাই দিতে হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, একজন ইউপি চেয়ারম্যান এভাবে অপরাধীকে আশ্রয় দেবে এমনটা কখনোই প্রত্যাশা করি না। বরং তার দায়িত্ব ছিল অপরাধীকে ধরতে পুলিশকে সহযোগিতা করা।
ওসি আরও বলেন, দুপুরে আসামি অহিদুল ব্যাপারীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রেজাউল করিম রেজা/এমআরআর/জিকেএস