দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ভ্যাপসা গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। তবে উত্তরের জেলা নীলফামারী হঠাৎ করে ঢাকা পড়েছে কুয়াশার চাদরে। টানা কয়েকদিন প্রচণ্ড গরমের পর এমন দৃশ্যে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) ভোর থেকেই কুয়াশা পড়তে শুরু করে এ অঞ্চলে। সকাল ৭টার দিকে ঘনত্ব বাড়ে বৈশাখী এ কুয়াশার। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মিলে যায় কুয়াশা।
ডিমলা আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, আজ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার (১৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আজ কমে ৩৪ এর নিচে আসতে পারে বলে ধারণা করছে আবহাওয়া অফিস।
সৈয়দপুর-নীলফামারী রোডের অটোরিকশাচালক আব্দুর রশিদ। প্রচণ্ড গরমে গতকাল অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। আব্দুর রশিদ বলেন, ‘রোজা রেখে যা গরম তাতে জীবন বাঁচানো দায়। তারপরও আমাদের গাড়ি চালাতে হয়। কালতো অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। আজ কিছুটা ঠান্ডা বাতাস আছে। আজ বেশি গরম পড়বে না। এমন থাকলেও আমরা ভালো থাকবো।’
উকিলের মোড় এলাকার রিকশাচালক সাইদার রহমান বলেন, ‘আজ গরম কম। রোদে যাত্রী কম থাকে। আর কষ্টও হয়। আইজ ভালো মনে হয়চে। ঈদের এ কটাদিন ভালো থাকুক।’
পথচারী মিনারুল ইসলাম বলেন, ‘গরমে ঘর থেকে বের হওয়া দায়। দুপুরে তো ঘরেই থাকা যায় না। তবে আজ সকালে কুয়াশা পড়েছিল। হালকা বাতাসও আছে। গরম কিছুটা কমবে আশা করি।’
ডিমলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জাগো নিউজকে বলেন, গতকালের তুলনায় গরম কিছুটা কমবে বোঝা যাচ্ছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে।
কুয়াশার বিষয়ে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এই কুয়াশা পড়েছে। বর্তমানে জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে আমরা প্রকৃতির নানা বিরূপ প্রভাব লক্ষ্য করছি। হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। ফলে এই প্রভাবগুলো দেখা যাচ্ছে।
রাজু আহম্মেদ/এসআর/জেআইএম