জাতীয়

হোক তীব্র রোদ, তবুও ফিরতে হবে বাড়ি

কিছুদিন ধরে দেশের তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। কিছু অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। তীব্র রোদে উত্তপ্ত শহর। রোদে কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে থাকাই কঠিন। তবে, এরমধ্যেও থেমে নেই ঈদে ঘরমুখো মানুষ। তীব্র রোদ ও গরমের বিষয়টি তাদের মাথায় নেই বললেই চলে। নেই শরীর ঘেমে যাওয়ার ভাবনা। তাদের চিন্তা-ভাবনায় শুধু প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ফিরতে হবে বাড়ি।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) ঘড়ির কাটায় সময় যখন বেলা সাড়ে ১১টা, সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী এলাকায় তখন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবুও চারদিক থেকে শুধু মানুষ আসছে। ছোট-বড় সবার উৎকণ্ঠা একটাই যেভাবে হোক বাড়ি যেতে হবে।

আরও পড়ুন>> মোটরসাইকেল চলাচলে প্রস্তুত পদ্মা সেতু

আজিমপুরের বাসিন্দা শাহনুর মিয়া পরিবার নিয়ে যাচ্ছেন বরিশাল। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে অপেক্ষা করছেন গাড়ির জন্য। যানজটের কারণে এক ঘণ্টায়ও কাউন্টারে আসেনি গাড়ি। ছোট মেয়ে ফাইজা’র কপাল থেকে ঘাম ঝড়ছে, বাবার কাছে বার বার জানতে চাইছে গাড়ি কখন আসবে। ফাইজা’র মতো সবার আকুতি শুধু বাড়ি ফেরার।

জানতে চাইলে শাহনুর মিয়া বলেন, গাড়ি না কি মাত্র সায়েদাবাদে ঢুকছে। যানজটের কারণে কাউন্টারে আসতে পারছে না। আমার মা বাড়িতে, তাই ঈদ করতে পরিবার নিয়ে মায়ের কাছে যাচ্ছি। গরম হোক আর যাই হোক ছুটি পেয়েছি এখন মায়ের কাছে যাবো। গরমে বাচ্চাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে জানি, কিন্তু বাড়ি গেলে সব কষ্ট ভুলে যাবে।

আরও পড়ুন>> শিমুলিয়া ঘাটে মোটরসাইকেলের ঢল

ছোট্ট শিশু নীরাকে কোলে নিয়ে বাবা হীরা তালুকদার গাড়ি খুঁজছেন। পেছনে হাঁটছে নীরার মা শায়লা। জানতে চাইলে শায়লা বলেন, বাচ্চাটা খুব ছোট, কিন্তু ছুটি তো আজ শুরু হয়েছে তাই আজই যেতে হবে। গরমে কষ্ট হলেও বাড়ি যেতে পারলে শান্তি। আত্মীয়-স্বজন সব তো নোয়াখালী থাকেন, সেজন্যই কষ্ট করে হলেও যাচ্ছি। গাড়ি তো যানজটে আটকে আছে তাই এখনো উঠতে পারিনি।

পরিবার নিয়ে ঝিনাইদহ যাচ্ছেন আমিন। তিনি জানান, গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু গাড়ি যানজটে আটকে আছে। আজকে গরম কম, তবে রোদের উত্তাপ বেশি। বাচ্চাদের কাউন্টারের ভেতরে বসিয়েছি। কিন্তু মানুষের চাপে সেখানেও গরম। একটু কষ্ট হলেও বাড়ি তো ফিরতে হবে। ঈদে সবাইকে নিয় বাড়ি যাই, সেটা তো আর মিস করা যাবে না।

আরও পড়ুন>> যানজট কেড়ে নিচ্ছে ঈদযাত্রার স্বস্তি

আইএইচআর/এমএএইচ/জিকেএস