দেশজুড়ে

ঈশ্বরদীতে পানি ছিটিয়ে নেচে-গেয়ে বৃষ্টির আকুতি

‘আল্লাহ মেঘ দে পানি দে, ছায়া দে’ ‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে ধান দেবো মেপে’ এমন বেশ কিছু বাংলা লোক গানে নেচে-গেয়ে পানি ছিটিয়ে বৃষ্টির জন্য আকুতি জানানো হয়। একই সঙ্গে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা ও রাতে সিন্নির আয়োজন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে বাঙালির অতি প্রাচীন এ সংস্কৃতির দেখা মেলে পাবনার ঈশ্বরদীর মধ্য অরণকোলা এলাকায়। এ আয়োজনকে সফল করতে এলাকার মানুষ টাকা ও চাল-ডাল সংগ্রহ করছেন। যা দিয়ে রাতে সিন্নি রান্না ও বিতরণ করবেন।

বৃষ্টির জন্য বাঙালির ঐতিহ্যবাহী এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার সৈয়দ আলী জিরু, পৌরসভার কাউন্সিলর ইউসুফ আলী প্রধানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

গ্রীষ্মের তীব্র তাপপ্রবাহে ঈশ্বরদীর জনজীবন বিপর্যস্ত। অনাবৃষ্টির কবলে পড়ে ওষ্ঠাগত প্রাণ। চৈত্র ও বৈশাখের প্রচণ্ড খরতাপে নলকূপে পানি ওঠা বন্ধ হয়ে গেছে। ফসলের মাঠ শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ২০ দিন ধরে চলমান তাপপ্রবাহে আর অনাবৃষ্টিতে প্রকৃতিতে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ২০ দিন হতে চলেছে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও খরায় ঈশ্বরদীর মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ১৭ এপ্রিল ঈশ্বরদীতে চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছিল। ১৯ এপ্রিল দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) তাপমাত্রা ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়।

১০ দিন হতে চলেছে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। প্রকৃতির এমন বৈরী আচরণ থেকে রক্ষা পেতে ও বৃষ্টির জন্য এলাকাবাসী গানে গানে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করছে।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ২০ দিন ধরে ঈশ্বরদীতে বৃষ্টিপাত হয়নি। সাত দিন তাপমাত্রা ৪০-৪৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। আরও দু-তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

ঈশ্বরদী উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মাহাবুব ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, পানির স্তর ৩০ ফুটের নিচে নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। বৃষ্টি হলে পানির স্তর স্বাভাবিক হয়ে যাবে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এ সমস্যার কোনো সমাধান নাই।

শেখ মহসীন/এসজে/জিকেএস