দেশজুড়ে

সাতক্ষীরায় প্রচারণা তুঙ্গে, প্রকাশ্যে আসছে অপরাধীরা

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সাতক্ষীরা ৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজারে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা। চলছে পথসভা, উঠান বৈঠক ও মতবিনিময়। অন্যদিকে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা বাহিনীর সদস্যরাও সক্রিয় হয়ে উঠছে। এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বা অস্ত্রসহ বিভিন্ন মামলার দাগী আসামিরাও প্রকাশ্যে আসছে।জেলার তালা উপজেলার শিবপুর গ্রামের মোবারেক আলী জাগো নিউজকে বলেন, তালা থানার এসআই মনিরের উপর হামলা ও মারপিট করে চোরাই মোটরসাইকেল ছিনতাই করা আসামি ও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে দ্রুত বিচার আইনে মামলায় জেলখাটা আসামি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আ.লীগ সমর্থিত এ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ তার লোকজন ভোটকেন্দ্র দখলসহ রাতেই ভোট কেটে নেয়া হবে এমন প্রচারণা চালিয়ে সাধারণ ভোটারদের ভয় দেখানোসহ পুলিশ দিয়ে গ্রেফতারের হুমকি দিচ্ছেন। তবে এ ব্যাপারে তালা উপজেলা রিটার্নিং অফিসার মনোরজ্ঞন বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, রাতে ভোট কেটে নেয়া হবে বা সাধারণ ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে এমন লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।সাধারণ ভোটাররা বলেন, যে এলাকার উন্নয়ন করেছে, যাকে ভোট দিলে এলাকার উন্নয়নসহ সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে, যাকে সুখে-দুঃখে পাশে পাওয়া যাবে এমন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকেই ভোট দিবেন তারা।জেলা নির্বাচন অফিসার আহমেদ আলী জাগো নিউজকে বলেন, জেলার ৭৮টি ইউনিয়নে ২২ মার্চ নির্বাচনে ৩৭ জন রিটার্নিং অফিসার নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন। চেয়ারম্যান পদে সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ৫৪ জন, আশাশুনিতে ১১টি ইউনিয়নে ৫৩ জন, কালীগঞ্জে ১২টি ইউনিয়নে ৪৫ জন, দেবহাটায় ৫টি ইউনিয়নে ১৪ জন, শ্যামনগরে ১২টি ইউনিয়নে ৫৩ জন, তালায় ১২টি ইউনিয়নে ৬৬ জন ও কলারোয়ায় ১২টি ইউনিয়নে ৫৮ জন মোট ৩৪৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করা হবে।এসএস/আরআইপি