দেশজুড়ে

মোংলায় কালবৈশাখী, অন্ধকারে বন্দর-পৌর শহর

তীব্র দাবদাহের পর মোংলায় ঝুম বৃষ্টি ও ঝড় হয়েছে। ঝড়ে বেশ কয়েক জায়গায় গাছপালা ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখা হয়েছে। এতে সন্ধ্যা থেকে ভুতুড়ে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বন্দর ও পৌর শহরজুড়ে।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আসতে থাকে। সেইসঙ্গে শুরু হয় বাতাস। ধুলোঝড়ে মুহূর্তেই বন্ধ হয়ে যায় সব দোকানপাট। পৌনে ৬টায় শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি। প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় ধরে চলা বৃষ্টিতে পৌর শহরের রাস্তাঘাটে পানি জমে যায়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাফর রানা বলেন, ঝড়ে বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে ঝড়ে বেশ কয়েক জায়গায় গাছপালা ভেঙে পড়ায় বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের বিষয়ে পিডিবি মোংলার আবাসিক প্রকৌশলী এসএম ফরহাদ হোসেন বলেন, আকস্মিক ঝড়ে স্থায়ী বন্দরের ইপিজেড এলাকায় বৈদ্যুতিক তারে গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ঝড়-বৃষ্টি কমলে ডালপালা সরিয়ে তার মেরামত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।

তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগতে পারে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি তিনি।

ঢাকা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (আবহাওয়াবিদ) মনোয়ার হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মোংলাসহ উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী বয়ে গেছে। এমন ঝড়-বৃষ্টি এখন প্রায়ই হবে।

আবু হোসাইন সুমন/এসআর/জেআইএম