দেশজুড়ে

প্রবেশপত্র না পেয়ে ১৬ শিক্ষার্থীর সড়ক অবরোধ, পৌঁছে দেবেন ইউএনও

নীলফামারীর সদর উপজেলার টুপামারী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র না পাওয়ায় রাস্তা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাসে সড়ক থেকে সরে যায় তারা।

সারাদিন প্রবেশপত্রের জন্য অপেক্ষা করেও না পেয়ে শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে রাস্তা অবরোধ করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। রাত ১১টায় ওই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রবেশপত্র বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন ইউএনও জেসমিন নাহার। রোববার যথাসময়েই পরীক্ষায় অংশ নেবে তারা।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, রোববার থেকে এসএসসি পরীক্ষা। তবে পরীক্ষার একদিন থাকা সত্ত্বেও প্রবেশপত্র পাননি টুপামারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থী। সারাদিন শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রবেশপত্রের জন্য অপেক্ষা করেন। কিন্তু সন্ধ্যা গড়ালেও প্রবেশপত্র হাতে না পাওয়ায় রামগঞ্জ থেকে নীলফামারী পৌরশহরে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাত ১১টার দিকে ইউএনওর আশ্বাসে রাস্তা থেকে সরে যায় শিক্ষার্থীরা।

বরাদি আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী জানায়, কয়েকদিন ধরে আমরা শিক্ষকদের বলি। কিন্তু তারা আমাদের রাগ দেখান। আজ সকাল থেকে আমরা স্কুলে কিন্তু প্রবেশপত্র পাইনি। কাল আমরা যদি পরীক্ষা দিতে না পারি এর দায়ভার কে নেবে। আর কাল লিখবই বা কী? আমাদের ভবিষ্যৎটা নষ্ট করে দিচ্ছে।

নাজনিন আক্তার নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমি কিছু ভাবতে পারছি না। কাল কী লিখবো, পরীক্ষা দিতে পারবো কি-না। সারাদিন আমরা অপেক্ষা করেছি। কান্না করেছি শিক্ষকরা আমাদের কথা শোনেনি। কী হবে জানি না। শিল্পী আক্তার জানায়, কদিন থেকে আমার মেয়ে স্কুলে আসছে কিন্তু কাগজ পায় না। আজ সন্ধ্যায় কান্না করে ওর অবস্থা শেষ। ইউএনও এসে বলেছেন কাগজ বাড়িতে পৌঁছে দেবেন।

অভিভাবক নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষকের গাফিলতির করণে আজ বাচ্চাদের এ অবস্থা। যে দায়িত্ব পালনের কথা শিক্ষকের সেটা ইউএনও করছেন। তারা তাহলে কতটা দায়িত্বহীন। এটার শাস্তির দাবি জানাই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য তালেবুর রহমান তালেব বলেন, এটি প্রধান শিক্ষকের গাফিলতির কারণে হয়েছে। ইউএনওকে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। প্রধান শিক্ষকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি।

ইউএনও জেসমিন নাহার বলেন, সার্ভার জটিলতার কারণে সমস্যাটি হয়েছে। আমরা একটু আগে প্রবেশপত্রগুলো ডাউনলোড করতে সক্ষম হয়েছি। রাতের মধ্যেই প্রবেশ পত্রগুলো শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় কারও গাফিলতি থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজু আহম্মেদ/এসজে