কুমিল্লার তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন (৪০) হত্যাকাণ্ডের ৪২ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। এছাড়া সোমবার রাতে মরদেহ দাফন করা হলেও মঙ্গলবার (২ মে) দুপুর সোয়া ২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার ক্লু উদঘাটনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।
এর আগে রোববার (৩০ এপ্রিল) রাত সোয়া ৮টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজার ঈদগাহ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে নিহত জামাল হোসেন তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন এশার নামাজ পড়তে গৌরীপুর পশ্চিম বাজার বায়তুন নুর জামে মসজিদে যাচ্ছিলেন। এসময় বোরকা পরিহিত তিন দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আফজাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে এরইমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজসহ সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো প্রযুক্তির সহায়তায় যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে র্যাব ও পিবিআইসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। আশা করছি, দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারবো।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর ভূঁঞা জাগো নিউজকে বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার রাতে নিহতের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
মামলা না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিহতের পরিবারকে মামলার বিষয়ে বলা হয়েছে। তারা যখনই থানায় আসবেন তখনই মামলা নেওয়া হবে।
জাহিদ পাটোয়ারী/এমআরআর/এমএস