সাগরকন্যা কুয়াকাটার একই জায়গায় দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগসহ সাগরের নানা সৌন্দর্য দেখতে বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে পর্যটকদের আগমন ঘটে। এবার বৌদ্ধ পূর্ণিমাসহ সরকারি তিনদিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় আগমন ঘটেছে হাজারও পর্যটকের।
শুক্রবার (৫ মে) ছুটির দিনে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, আনন্দ উল্লাসে মেতেছেন পর্যটকরা। ছোট বাচ্চারা বালু পানিতে গাঁ মিশিয়ে আনন্দ করছে, মধ্যে বয়সীরা গভীর সমুদ্রে গোসলে মেতেছেন আর বৃদ্ধরা ছাতার নিচে বেঞ্চে বসে উপভোগ করছেন বিশাল সমুদ্রের জলরাশি ও গর্জন।
রাজশাহী থেকে আসা নাহিদ জানান, তিনদিনের ছুটিতে পরিবার নিয়ে এসেছি। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে এবারের ট্যুর। ওরা লাফালাফি, দুষ্টুমিসহ বেশ উপভোগ করছে।
ঢাকা থেকে আসা নায়রা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি। বাবা মা ছাতার নিচে বসে আছে। আমরা ছবি তুলছি আর বাচ্চারা খেলা করছে। আগের থেকে কুয়াকাটার পরিবেশটাও অনেক সুন্দর, ভালো লাগছে।
তিনদিনের ছুটির কারণে অনেক আগে থেকেই বুকিং রয়েছে বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল। আর বেশি পর্যটকের কারণে ব্যবসায় লাভবান এবং আগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
ট্যুর অপারেটর সাইদুর রহমান শাহিন জাগো নিউজকে বলেন, কুয়াকাটায় ঈদের পরে মোটামুটি পর্যটক থাকে। আমরাও ব্যস্ত সময় পার করছি। উপচেপড়া ভিড়টা এখন নেই। তবে বর্ষা মৌসুমেও এবার অনেক পর্যটক থাকবে বলে আশা করছি। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরে কম-বেশি পর্যটকদের আগমন থাকে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে জানান, শুক্রবারসহ তিনদিন বন্ধ থাকায় অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটেছে। সে কারণে আগে থেকেই ট্যুরিস্ট পুলিশের কয়েকটি টিম মোতায়েন রয়েছে। সার্বক্ষণিক নজড়দারি ও মাইকিং করে পর্যটকদের নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আসাদুজ্জামান মিরাজ/এএইচ/এএসএম