মানিকগঞ্জ সদরে চাঞ্চল্যকর রোকসানা হত্যা মামলায় তার স্বামী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হযরত আলী বেপারীকে ঢাকা জেলার সাভার থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। স্ত্রীর হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক ছিলেন আলী ব্যাপারী। শনিবার (৬ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রোববার (৭ মে) এসব তথ্য জানান র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মাজহারুল ইসলাম। তিনি জানান, ‘মানিকগঞ্জ সদর থানার ফারিরচর এলাকার হযরত আলী বেপারী ও রোকসানা আক্তার প্রেম করে বিয়ে করেন ২০০১ সালে। এরপর রোকসানা কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এসময় আসামি হযরত আলী বেপারী ও তার বাবা মা রোকসানাকে যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করে। যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় আসামি আলী ব্যাপারী রোকসানাকে তার বাবার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। পরে ২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর হযরত আলী এবং অন্য আসামিরা রোকসানার বাবার বাড়িতে হাজির হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামিরা রোকসানাকে পিটিয়ে হত্যা করে এবং গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে বারান্দার সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।’
এই ঘটনায় রোকসানার বাবা বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় আলীসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে পুলিশ আলী বেপারীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করলে ৪ বছর জেলহাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি পায়। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত রোকসানা হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি আলী বেপারীকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। তবে জামিনের পর থেকেই পলাতক ছিলেন আলী ব্যাপারী।
তিনি আরও জানান, গত ৩ বছর ধরে আসামি আলী বেপারী নাম পরিবর্তন করে মো. সজীব আহম্মেদ নাম ব্যবহার করে ছদ্মবেশ ধারণ করে সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে আছেন। গ্রেফতারের পর তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
আরএসএম/এসএনআর/এমএস