গাজীপুরে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কলেজছাত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মো. সাইদুল ইসলাম (৩০) নামে এক ইমামের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৮ মে) রাতে মহানগরীর দক্ষিণ সালনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ওই কলেজছাত্রীর মা ও বোন আহত হয়েছেন।
নিহত কলেজছাত্রীর নাম রাবেয়া আক্তার (২৩)। তিনি গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ সালনা এলাকার আবদুর রউফের মেয়ে। এ ঘটনায় তার মা বিলকিস বেগম ও ছোট বোন খাদিজাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেমে সাড়া না পেয়ে কলেজছাত্রীকে হত্যা করে যুবকের আত্মহত্যা
গাজীপুর সদর মেট্রো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক জানান, আবদুর রউফ ওই এলাকায় স্ত্রী ও চার মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন। বড় মেয়ে রাবেয়া আক্তার ২০২০ সালে জয়দেবপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ইউরোপে পড়তে যাওয়ার জন্য ভিসাসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম প্রসেসিং করতে থাকেন। তার ছোট দুই মেয়ে খাদিজা ও জান্নাতকে কোরআন শিক্ষার জন্য স্থানীয় টেকিবাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মো. সাইদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন।
তাদের পড়ানোর জন্য বাসায় যাওয়া-আসার সুবাদে রাবেয়া আক্তারের দিকে তার কুনজর পড়ে। কিছুদিন পরে তিনি রাবেয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সরাসরি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়। এক পর্যায়ে তাকে বাসায় এসে পড়ানোর জন্য নিষেধ করা হয়। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে রাবেয়াকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করতেন।
আরও পড়ুন: কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাসায় গিয়ে রাবেয়া আক্তারকে কোপাতে থাকেন। তার চিৎকারে মা-বোন এগিয়ে এলে তাদের কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যান সাইদুল ইসলাম। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাবেয়া আক্তার মারা যান। গুরুতর আহত মা ও ছোট বোনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে সাইদুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
মো. আমিনুল ইসলাম/আরএইচ/এমএস