ক্যাম্পাস

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকিছু ছাত্রলীগের মতই চলবে, যা বলি তা করতে হবে’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল হককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতা নাসিম আহমেদ জয়ের বিরুদ্ধে।

রোববার (১৪ মে) বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএন এমদাদুল হক। সেখানে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুটসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিলেন। পাশে বাবা তোবারক হোসেন বাদলের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় ছিলেন।

আরও পড়ুন: মেগাপ্রজেক্টে বদলে যাচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

এক পর্যায়ে এমদাদুল হকের কাছে এসে জয় তার বাবাকে পরীক্ষা কমিটিতে না রাখার কারণ জানতে চান। এমদাদুল জানান, এটা প্রশাসনের কাজ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যাদের প্রয়োজন মনে করেছে তাদের সিলেক্ট করেছে। এতে আমার কোনো হাত ছিল না। এসময় দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে অন্য কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

একপর্যায়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকিছু ছাত্রলীগের মতই চলবে। আমরা যা বলি তা করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল হক বলেন, তাদের আচরণে মানসিকভাবে আহত হয়েছি। এ অযাচিত আচরণ কোনোভাবেই সমর্থিত না। তাদের এ ধরনের আচরণে ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে।

কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট বলেন, বিষয়টি আমাদের খুব মর্মাহত করেছে। সমিতির সভাপতিকে আমরা সবাই খুব শ্রদ্ধা করি। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, এটা আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কাকুর সঙ্গে একটা ইস্যু নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়েছে। সকালে দেখবা তার রুমে বসে একসঙ্গে চা খাচ্ছি।

রুমি নোমান/আরএইচ/জেআইএম