নেত্রকোনায় পৃথক অভিযানে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৩২ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাতে ও শুক্রবার (১৯ মে) সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারদের মধ্যে কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া দুলাল, দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জহিরুল আলম ভূইয়া (৬৬) ও উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. শমসের মিয়া রয়েছেন।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, নেত্রকোনা সদরে ১০ নেতাকর্মী, পূর্বধলায় ১, দুর্গাপুরে ২, আটপাড়ায় ২, মোহনগঞ্জে ৬ জন, কলমাকান্দায় ৫ জন, কেন্দুয়ায় ৪ জন ও মদনে ২ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কলমাকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুনেব খান বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে কলমাকান্দা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটিতে ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে এই মামলার ৫ আসামিকে গ্রেফতার করে শুক্রবার বিকেলে নেত্রকোনা আদালতে পাঠায় পুলিশ।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার করে শুক্রবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। এদিকে জেলার দুর্গাপুরে পুলিশের পৃথক দুই মামলায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক মো. জহিরুল আলম ভূইয়া (৬৬) ও উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. শমসের মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের ঝাঞ্জাইল এলাকায় নিজ নিজ বাসভবন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুর্গাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নুরুল আলম। তিনি বলেন, পুলিশের ওপর আক্রমণ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় জহিরুল আলম ভূইয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।
এছাড়া সদরে জেলা যুবদলের সভাপতি সাফায়াত হোসেন, শ্রমিক দলের সভাপতি মোহাম্মাদ আলী, জেলা তাঁতিদলের আহ্বায়ক সাইফুদ্দিন আহমেদ লেলিন, চল্লিশা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মুজিবুর রহমান, সিংহের বাংলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমানসহ ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল হক গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নাশকতা এড়াতে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। এইচ এম কামাল/এফএ/এএসএম