ধর্মশালা থেকে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের ভেন্যু পরিবর্তণ করার পরও অনিশ্চয়তা কাটেনি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচটি নিয়ে চলা মেলোড্রামা যেন শেষ হইয়াও হইল না শেষ। একটা সুতোর টুকরোর উপর এখনও ঝুলে রয়েছে ইডেনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের ভবিষ্যৎ। বুধবার বিকেলে আইসিসি ধর্মশাল থেকে ইডেনে ম্যাচ সরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়ার পর কেউ ভাবতেও পারেনি ভারত-পাক ম্যাচ ঘিরে নতুন নাটক অবশিষ্ট থাকতে পারে। ইডেনে যখন ১৯ তারিখের ম্যাচ নিয়ে প্রবল তোড়জোড় তৈরি হয়ে গিয়েছে, তখন পাকিস্তান আচমকা বলতে শুরু করেছে, যতক্ষণ না ভারত সরকারের কাছ থেকে সুস্পষ্ট আশ্বাস পাচ্ছে, ততক্ষণ তারা সফরে আসবে না। কলকাতায় ভেন্যু পরিবর্তন হয়েছে শুনে শাহিদ আফ্রিদিরা তখন উচ্ছ্বসিত। বলতে থাকেন, ইডেনে আজ অবধি কোনও ওয়ানডে ম্যাচ ভারতের কাছে হারিনি। এরপর হঠাৎ পিসিবি থেকে তারা খবর পান, ভারত অভিযানের উপর ‘গো স্লো’ নির্দেশ আরোপ করা হয়েছে। যতক্ষণ না ভারতের কাছ থেকে লিখিত নিরাপত্তার আশ্বাস পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ দল পাঠাচ্ছে না পাকিস্তান। পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান রাতে বিবৃতি দেন, ‘কলকাতায় খেলতে অসুবিধে নেই; কিন্তু তার আগে ভারত সরকারকে আমাদের নিশ্চয়তা দিতে হবে।’ পাকিস্তানের সাংবাদিকদের শাহরিয়ার খান বলেন, ‘শিবসেনা, আপ, কংগ্রেস- প্রত্যেকটা দলই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে। কেন্দ্র যতক্ষণ না নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে দিচ্ছে, আমরা দল পাঠানোর ঝুঁকি কী করে নিতে পারি?’ পাক ক্রিকেট মহলের অবশ্য আশা, এই জট আগামী বারো থেকে চব্বিশ ঘণ্টায় কেটে যাবে। রাতে শোনা গেলো, ধর্মশালায় যে সংগঠন ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে হুমকি দিয়েছিল, সেই ‘অ্যান্টি টেররিস্ট ফ্রন্ট’ ইডেনেও পিচ খুঁড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে! তাদের সাফ কথা, কোনও ভাবেই পাকিস্তানকে এ দেশে খেলতে দেওয়া হবে না। যদিও কলকাতায় এরা কতটা কী করতে পারবে, তা নিয়ে অনেকেই সংশয়ে। মধ্য রাতে বিসিসিআই কর্তাদের কেউ কেউ বলছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছ থেকে যথেষ্ট আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে। কমান্ডো বলয়ে ঘিরে দেওয়া হবে পাক টিমকে। কয়েকটি সূত্রে সরকারের কাছে খবর এসেছে কিছু জঙ্গি এ দেশে ঢুকেছে। সরকার ন্যূনতম ঝুঁকি নেবে না। এই মত বিশ্বাস করলে পাকিস্তানের সফর বাতিল করার কোনও কারণ নেই। সে ক্ষেত্রে ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যথেষ্ট তৎপরতা দেখানো শুরু হয়েছে।’আইএইচএস/এবিএস