আইন-আদালত

আইসিইউয়ে মৃত শিশু : হাইকোর্টের শুনানি ২৭ মার্চ

চিকিৎসার নামে জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটালে মৃত শিশু সুমাইয়া সাবার লাশ আইসিইউয়ে আটকে রেখে টাকা আদায়ের ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে জারি করা রুলের বিষয়ে হাইকোর্টের পরবর্তী শুনানি ২৭ মার্চ।বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করে আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার আদালতে হাপাতালের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। স্বাস্থ্য সচিবের পক্ষে ছিলেন শ ম রেজাউল করিম। অন্যদিকে রুলের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু।এরআগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি স্বপ্রণোদিত হয়ে হাসপাতালসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন একই আদালত। রুলে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের দায়িত্ব পালনের অবহেলাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, শিশুটি মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ানদের বিরুদ্ধে কেন ফৌজদারি মামলা করা হবে না এবং শিশুটির পরিবারকে কেন আর্থিক ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়া হবে না তা ১০ মার্চের মধ্যে জানতে চাওয়া হয়েছিল। ওই দিন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালককে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। আজ সে বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল।সে অনুযায়ী হসপিটালের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত হন। তারা এ ঘটনায় হলফনামা আকারে জবাব দিতে সময়ের আবেদন করলে আদালত ২৭ মার্চ দিন ধার্য করেন। সেদিন হলফনামা দাখিলের পর আদালত পরবর্তী আদেশ দেবেন বলে জানান আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু।প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ  আদালতে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে মৃত শিশুর চিকিৎসার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য বলা হয়েছিল। একই সঙ্গে র্যাবের জরিমানা সংক্রান্ত প্রতিবেদন ম্যাজিস্ট্রেটকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুটি জাতীয় দৈনিকে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হলে তা আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইদ্রিসুর রহমান ও ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু। এরপর আদালত তলবাদেশসহ রুল জারি করেন। এফএইচ/এনএফ/পিআর