আইন-আদালত

জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা অব্যাহত

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) দুদকের উপ-পরিচালক হারুনুর রশিদকে মামলার সর্বশেষ আসামির পক্ষে জেরা অব্যাহত রয়েছে। আলোচিত এ মামলার চার আসামির মধ্যে দুই আসামির পক্ষে ইতোমধ্যে জেরা সম্পন্ন হয়েছে। এক আসামি পলাতক। বাকি একজনের পক্ষে জেরা করছেন আইজীবীরা। বৃহস্পতিবারও হারুনুর রশিদকে আংশিক জেরা করেন আইনজীবীরা। জেরা শেষে আগামী ২৪ মার্চ এই মামলার শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন আদালত। ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ৩ নম্বর বিশেষ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এই আদেশ দেন।আজ তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন আসামি মনিরুল ইসলামের আইনজীবী টিএম আকবর। এছাড়া আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সানাউল্লাহ মিয়া, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, মো. জিয়াউদ্দিন জিয়া প্রমুখ।দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাও একই বিশেষ আদালতে চলছে। এই মামলায় আসামির অনুপস্থিতিতে গ্রহণ করা সাক্ষ্য বাতিল চেয়ে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন কার্যক্রম মুলতবি ছিল।  কিন্তু ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ এ সংক্রান্ত মামলা স্থগিত চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে এখন মামলাটির কার্যক্রম পুণরায় চালু হবে। আদালত এর আগের তারিখেই ২৪ মার্চ মামলার শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।অসুস্থতার জন্য এ দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার অনুপস্থিতিতেই তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করা হয়। খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে সময় চেয়ে ও তার পক্ষে সাক্ষীকে জেরা করার জন্য আবেদন করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করেন।তবে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়ায় ত্রুটি থাকার অভিযোগ এনে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ আদালতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখার আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। তবে তাদের আবেদনের বিষয়ে আদালত স্পষ্ট কিছু বলেননি বলে জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া।জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে জমি কেনার সময় ৬ কোটি ৫২ লাখ ৭ হাজার টাকা অবৈধভাবে লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরেকটি দুর্নীতি মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। এ মামলায় ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।এফএইচ/এনএফ/পিআর