সিলেটের দানবীর হিসেবে পরিচিত রাগিব আলীর বিরুদ্ধে দেয়া আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান আদিবাসী পার্টি।শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাগীব আলী মুসলিম, তিনি কীভাবে দেবোত্তর সম্পত্তির সেবায়ত হন?তারা বলেন, তালিবপুর অংশকে রাগীব নগর করার মামলায় সর্বোচ্চ আদালতের কাছে হারার পর তার ছেলের করা রিটের শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। এ রায়কে আমরা স্বাগত জানাই।মানববন্ধনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট মিঠুন চৌধুরী বলেন, তারাপুর চা বাগান দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে কোনভাবে সেবায়েত বা তার মনোনীত ব্যক্তি হস্তান্তর করতে পারেন না। ৯৯ বছরের জন্য লিজ নেয়া তারাপুর চা বাগান সম্পূর্ণ বেআইনি।রাগীব আলীর শাস্তির দাবি করে তিনি বলেন, রায় অনুযায়ী দেবীকে ৫ কোটি টাকা ফেরত দেয়াই যথেষ্ট নয়। জালিয়াতি কার্যকলাপের জন্য প্রচলিত আইনে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।এর আগে ২০০৯ সালে রাগীব আলীর ছেলে আব্দুল হাইয়ের দায়েরকৃত সিভিল মামলায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব হোসেন ও সৈয়দ ফয়েজ সিদ্দিকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ১৯ জানুযারি রায় ঘোষণা করেন।রায়ে বলা হয়, আগামী ছয় মাসের মধ্যে চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তির উপর নির্মিত রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সকল স্থাপনা অপসারণ করতে হবে। পাশাপাশি সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ও চা রফতানি বাবদ ৫ কোটি টাকা সেবায়েতের কাছে ফেরত দিতে হবে।মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হিমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, বাংলাদেশ তফসিল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি দুলাল শাহা, সচেতন হিন্দু পরিষদের সভাপতি সুনিল মল্লিক প্রমুখ। এএস/এনএফ/এমএস