খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টিতে ‘দিলস্কুপের’ জন্ম

ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে অনেক জনপ্রিয় একটি শট ‘দিলস্কুপ’। শ্রীলংকান ব্যাটসম্যানব তিলকারত্নে দিলশানের হাতেই এই শট শোভা পায় বলে তার নামকরণ, দিলস্কুপ। অথচ শটটির আবির্ভাব হঠাৎ করেই হয়েছিল। ২০০৯ সালের আইপিএলে প্রথম এই শট খেলেন দিলশান। ‘আমার সন্তানেরা এখন আমার থেকে ভালো দিলস্কুপ মারতে পারে’- দিলশানের এ কথাতেই বোঝা যায় শ্রীলংকায় এটি কতটা জনপ্রিয় । শচীন টেন্ডুলকারের প্যাডেল সুইপ, এন্ডি ফ্লাওয়ারের রিভার্স সুইপ, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের রিস্টি ফ্লিক, রোহান কানহাইয়ের ফলিং হুক কিংবা পিটারসেনের সুইচ হিটের থেকেও দিলশানের করা দিলস্কুপ একটু বেশিই জনপ্রিয়তা পেয়ে গেছে ক্রিকেট বিশ্বে। দিলশান এই শটের জন্ম প্রসঙ্গে বলেন, ‘২০০৯ সালে আইপিএল চলাকালীন সবাইকে দেখতাম প্যাডেল সুইপ করতে; কিন্তু ফিল্ডিং দল একজন ফিল্ডার রেখে দিতো সেখানে। আমি চাচ্ছিলাম উইকেটকিপারের মাথার উপর দিয়ে শটটি মারতে। তখনকার ডেকান চার্জারসের অধিনায়ক আমি এবং উইকেটকিপার গিলক্রিস্টের মাথার উপর দিয়ে শটটি মারি। সে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল এবং গ্লাভস খুলে আবার পেছনে চলে গেল। দিলস্কুপ মারা খুবই সহজ। কেউ এর আগে এই শটটি অনুশীলন করেনি তাই আমিই প্রথম করে দেখলাম এটি।’ তবে এই শট মারার সময় সতর্ক হওয়ারও কথা বললেন দিলশান, ‘আমি মিচেল স্টার্কের ঘন্টায় ১৪৯ কিলোমিটারের বলে দিলস্কুপের মাধ্যমে ছয় মেরেছি। আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে এবং বলের দিকে খুব ভালোভাবে চোখ রাখতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যাট চালাতে হবে।’আরআর/আএইচএস/এমএস