বিএনপির ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীকে হাইকোর্টের দেওয়া তিন মাসের আগাম জামিন চেম্বারজজ আদালতেও বহাল রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন শুনানি নিয়ে বুধবার (৩১ মে) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বারজজ আদালত এই আদেশ দেন।
Advertisement
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী। শুনানিতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন তিনি। আর নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে সংঘর্ষ: হাইকোর্টে আগাম জামিন পেলেন নিপুণ রায়
ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, আমরা নিপুণের জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলাম। সেখানে আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে লক্ষ্য করেছি, তিনি কী ভূমিকা রেখেছিলেন, তাকে জামিন দেওয়া যায় না। তারপরও হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। আমরা জামিন স্থগিতের কারণগুলো বলেছিলাম। কিন্তু চেম্বারজজ আদালত হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন।
Advertisement
এর আগে শনিবার (২৭ মে) কেরানীগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় ইটের আঘাতে মাথা ফেটে যায় নিপুণ রায়ের। তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে মাথার ব্যান্ডেজ নিয়েই তিনি উচ্চ আদালতে আগাম জামিন আবেদনের শুনানিতে উপস্থিত হন। গ্রেফতার হতে পারেন, এমন শঙ্কায় তিনি হাসপাতাল থেকে সরাসরি হাইকোর্টে যান।
আরও পড়ুন: দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: নিপুণ রায়
এরপর সংঘর্ষের ঘটনায় নিপুণ রায় চৌধুরীসহ বিএনপির ১০৮ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়। এ মামলায় বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরীর তিন মাসের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। সোমবার (২৯ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ওইদিন জামিন আবেদনের শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজ্জা বাদল, তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
Advertisement
আরও পড়ুন: রাজনীতিতে নারীদের এগিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না: নিপুন রায়
কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলাটি করেন জিনজিরা ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি এসএম সুমন। মামলার এজাহারে আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর, হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে গুরুতর জখম, চুরি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
পুলিশ জানায়, আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় নিপুণ রায় চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন মাস্টার, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু, সহ-সভাপতি ওমর শাহনেওয়াজ, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোকাররম হোসেন সাজ্জাদসহ ১০৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করা হয়েছে।
এফএইচ/জেডএইচ/জিকেএস