লালমনিরহাটের তিন উপজেলায় দুই দফা ঝড়ে প্রায় এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ে উড়ে গেছে টিনের ঘর ও চালা। ভেঙে পড়েছে শতবর্ষী গাছপালা। এছাড়া বিদ্যুতের খুঁটিসহ তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে বিভিন্ন এলাকা।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ভোরে জেলার আদিতমারী, কালীগঞ্জ ও হাতীবান্ধা উপজেলায় দুই দফায় কালবৈশাখী ঝড় তাণ্ডব চালায়।
বুড়িমারী-লালমনিরহাট মহাসড়কে বড় গাছ ভেঙে পড়ায় ব্যাহত হচ্ছে সড়ক যোগাযোগ। এছাড়া বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ায় আদিতমারী ও হাতীবান্ধা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ১২ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।
উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের সদর বাজার এলাকার ফারুক হোসেন বাবু বলেন, একটি শিমুল গাছ পড়ে আমার ঘরের দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। অল্পের জন্য আমাদের পরিবারের লোকজন রক্ষা পেয়েছে।
গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, গড্ডিমারীর পাঁচটি ওয়ার্ডে প্রায় ৪০টি পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। পরিবারগুলো অনেক কষ্টে বসবাস করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে।
আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করার জন্য জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সহায়তা করা হবে।
রবিউল হাসান/এফএ/জেআইএম