দেশজুড়ে

বর্ষার প্রথম দিনেও তেতে আছে চুয়াডাঙ্গা

আজ পহেলা আষাঢ়। বর্ষা ঋতুর শুরু। এসময় ঝুম বৃষ্টি নামার কথা। অথচ বৃষ্টির দেখা নেই চুয়াডাঙ্গায়। সকাল থেকেই আকাশ চকচকে। কড়া রোদে অসহ্য গরম পড়ছে। অথচ বিগত বছরগুলোতে আষাঢ় শুরুর আগেই জেলায় বৃষ্টি নামতে দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেলে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, জেলার ওপর দিয়ে পুরো মাসজুড়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।

আলমডাঙ্গা উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন দোলু। তিনি পেশায় একজন কৃষক। খরায় পানি শুকিয়ে যাওয়ায় শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে সেচ দিচ্ছিলেন। দেখা গেলো প্রচণ্ড রোদে জমিতে থাকতে না পেরে পার্শ্ববর্তী একটি চায়ের দোকানের টিউবওয়েল থেকে পানি পান করছেন।

দেলোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আষাঢ় মাসের আজ প্রথম দিন। তারপরও তরতরে (কড়া) তাজা রোদ। মানুষ গরমে ঠিকমতো থাকতে পারছে না। বর্ষার প্রথম দিনে আজ বৃষ্টি হওয়ার কথা অথচ বৃষ্টি নেই।’

গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গাছের নিচে একটি দোকানের বেঞ্চে বসে জিরিয়ে নিচ্ছিলেন শামসুল ইসলাম। তার বাড়ি আলমডাঙ্গা উপজেলার ভালাইপুরে।

শামসুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আজ থেকে আষাঢ় মাসের শুরু অথচ বৃষ্টি নেই। এমন গরম পড়ছে যে গাছের নিচে সাইকেলডা থুয়ে (রেখে) হাওয়া খাচ্ছি। কুনু বৃষ্টিই নেই।’

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, আষাঢ়ের শুরুতেও বৃষ্টির দেখা নেই। চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত আছে। এটা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

তিনি বলেন, ‘মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে মৌসুমি বায়ুর প্রবাহ কমে গেছে। যে কারণে বৃষ্টিপাত কম। যে সামান্য পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে তা রোদে শুকিয়ে গিয়ে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বৃদ্ধি করে ভ্যাপসা গরমের সৃষ্টি করছে। কাঙ্ক্ষিত বর্ষণ নেই বলে তেতে আছে চুয়াডাঙ্গা।’

রকিবুল হাসান আরও বলেন, আজ বিকেলে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৬৬ শতাংশ।

হুসাইন মালিক/এসআর/জিকেএস