দেশজুড়ে

মোংলায় লোডশেডিং-গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন

বাগেরহাটরে মোংলায় কয়েকমাসের চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত আছে। বৈশাখ মাসে মোটেও বৃষ্টিপাত হয়নি। জৈষ্ঠ্যের শেষভাগে দু-একদিন ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হলেও জনজীবনে স্বস্তি ফেরেনি। বর্ষার প্রথম দিন ভোরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যৎসামান্য বৃষ্টি হলেও কমেনি গরম। বরং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের খরতাপ বেড়েছে। এরপর দুদিন গড়ালেও মেলেনি বৃষ্টির দেখা।

জৈষ্ঠ্যের শেষ দিন বুধবার মোংলায় তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আষাঢ়ের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ছিল ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন তাপপ্রবাহ অব্যাহত আছে কয়েক মাস ধরেই। একাধারে তাপপ্রবাহ ও অন্যদিকে অনাবৃষ্টিতে প্রকৃতিতেও রুক্ষ অবস্থা বিরাজ করছে।

এছাড়া গরমে কষ্টের পাশাপাশি চরম ভোগান্তি বাড়িয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। কয়েকদিন ধরে দু-তিনবার করে কয়েক ঘণ্টার জন্য লোডশেডিং হচ্ছে। এতে গরমে যেমন কষ্ট পাচ্ছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা, তেমনি কলকারখানাসহ দোকানি ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) মোংলার আবাসিক প্রকৌশলী এইচ এম ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাওয়ায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। জ্বালানির অভাবে বিভিন্ন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের সংকটে লোডশেডিং চলছে।

তিনি আরও বলেন, মোংলায় ৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ আছে ২৪ মেগাওয়াট। ফলে দিনে ও রাতে মিলিয়ে কখনো আধা ঘণ্টা, কখনো এক ঘণ্টা, কখনো দুঘণ্টা এভাবেই গড়ে প্রায় তিন ঘণ্টার মতো লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

এদিকে পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে বিস্তৃত আছে, পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় আছে। এর প্রভাবে মেঘ ও রোদে ভ্যাপসা গরম পড়ছে। বৃষ্টিপাত হলে গরম কমে আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা (সেকেন্ড অফিসার) অমরেশ চন্দ্র ঢালী জাগো নিউজকে বলেন, মোংলাসহ উপকূলীয় এলাকায় মাঝারি তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে, যা অব্যাহত থাকবে। তবে শুক্রবার ও শনিবারের বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকার পরও শরীর ঘামার মত ভীষণ গরম পড়ছে। এছাড়া বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় আছে। ফলে মাঝে মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।

তিনি আরও বলেন, দু-একদিনের মধ্যে বৃষ্টি হলে তাপপ্রবাহ কমে আসবে। ২০ জুনের পর থেকে মোংলাসহ উপকূলীয় এলাকায় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। তবে বৃষ্টি না হলে গরম আরও বাড়বে।

আবু হোসাইন সুমন/এসজে/এমএস