ড. ইসাবেলা আঁতুনেস একজন ফরাসি নির্মাতা। তিনি একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন বাংলাদেশ নিয়ে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ছবিটির বিষয়। ফ্রান্সের প্যারিসে ডিসেম্বর মাসে হয়ে যাওয়া জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন ‘ইউএন সিওপ ২১’ এ ছবিটির প্রদর্শনী হয়েছিল। ছবিটির শুটিং হয়েছে দাউদকান্দিতে। ড. ইসাবেলা আঁতুনেসের তথ্যচিত্রটির নাম ‘হ্যাপি রেইন বা সুখের বৃষ্টি’। আগামী ১৬ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় ছবিটি প্রদর্শিত হবে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে। সেসময় ইসাবেলা উপস্থিত থাকবেন। এখানে দেখানো হয়েছে দাউদকান্দির নীচু ধানী জমিগুলো বর্ষায় ডুবে যায়। চিন, নেপাল, ভুটান আর ভারতের নদী-খালগুলো থেকে আসে এসব পানি। আর উপচে ওঠে বাংলাদেশ। তাই বলে দিশেহারা হয় না বাংলাদেশের মানুষ। তারা ওই সময়কালে নীচ জমিগুলোয় মাছ চাষ করেন। বাংলাদেশ তাই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সামলোনোর মডেল হিসাবে কাজ করতে পারে। শিশুক নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এসএম মোরশেদ এই চিন্তাটি দিয়েছিলেন ইসাবেলাকে। তিনি স্থানীয় লোকজনকে বহুমাত্রিক উৎপাদনে উৎসাহী করেন এবং সমবায় ভিত্তিতে মৎস্য খামার গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। কাজটি তিনি করে চলেছেন ১৫ বছর ধরে। অনেকগুলো গ্রামের মানুষকে তিনি দলবদ্ধ হতে উৎসাহিত করেছেন। তার এবং আরো অনেক মানুষের ওইসব দিনের স্বপ্নের ফলাফলে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বা সমালোচনা সয়ে বাংলাদেশ এখন পরিবর্তনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ইসাবেলা এটিই দেখিয়েছেন তার ছবিতে। ফরাসি নির্মাতা সাবেলা জন্মেছেন ফ্রান্সে কিন্তু বড় হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। কাজ করেছেন অনেক দেশে। তিনি বতসোয়ানা, আইভরি কোস্ট, মরক্কো ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ভুটান, পাকিস্তানসহ আরো কিছু দেশে কাজ করেছেন। এলএ/এমএস