দেশজুড়ে

হাটে গরু বেশি, বেচাকেনা কম

জয়পুরহাটে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ক্রেতা-বিক্রেতায় ভরে গেছে জেলার সবচেয়ে বড় নতুন হাট। হাটের বিভিন্ন অলি-গলিতে বিক্রির জন্য গরু-ছাগল রাখা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাট থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার সড়ক গরুবাহী ট্রাক ও ভটভটি রাখা হয়েছে। গরু নিয়ে খামারিরা হাটে প্রবেশ করছেন। হাটের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে দলে দলে মানুষ হাটে প্রবেশ করছে।

স্থানীয়রা জানান, শুধু জয়পুরহাট নয় পাশের নওগাঁ, বগুড়া দিনাজপুর ও গাইবান্ধা বিক্রির জন্য এ হাটে গরু আসে। রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলার পাইকাররা ট্রাক নিয়ে আসেন গরু কিনতে। এখানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের গরু ওঠে। এবার ৫০ হাজার থেকে শুরু করে চার লাখ টাকা দামের গরু কেনা বেচা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কুরবানির হাটে গরু আছে ক্রেতা নেই

শহরের প্রফেসর পাড়ার বাসিন্দা মিলন জানান, প্রতিবছর টার্গেট থাকে নতুন হাট থেকে পশু কেনার। তার মতো অনেকেই বলছেন যেহেতু নতুন হাটে পশুর সরবরাহ বেশি তাই এখান থেকে পশু কেনা সহজ।

সিলেট থেকে আসা পাইকার সাইফুল ইসলাম জানান, গত বছরের তুলনায় এবার গরুর আমদানি বেশি। ফলে দাম কিছুটা কম। বাজারে দেশীয় জাতের গরুর চাহিদা বেশি।

হাট ইজারা কমিটির কালিচরণ জানান, হাটে গরু বেশি উঠলে দাম কমে। মাঝারি সাইজে গরুর চাহিদা বেশি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহফুজার রহমান জানান, এ বছর জেলায় তিন লাখ আট হাজার ২০০ পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলার চাহিদা রয়েছে এক লাখ ৫০ হাজার ২০০ পশুর। বাকি এক লাখ ৫৮ হাজার পশু জেলার বাইকে বিক্রি হবে।

আরএইচ/এমএস