দেশজুড়ে

সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে আদার দাম বেড়েছে ১৫০ টাকা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে আদার দাম বেড়েছে ১৫০ টাকা। এছাড়াও অন্যান্য মসলার দাম বেড়েছে কয়েকগুণ।

তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, নিয়মিত বাজার তদারকি না করায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বেশি দামে আদাসহ বিভিন্ন মসলা জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করছেন। এতে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।

ভৈরবের পাইকারি ও খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মসলার পাইকারি দোকানগুলোতে প্রতি কেজি আদা ৩৩০-৩৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারের সেটি ৩৫০-৩৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আদা ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে আদার দাম বেড়েছে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা।

ভৈরব বাজারের হলুদ পট্টির ব্যবসায়ী গাজী রাহিদ হাসান বলেন, ঢাকার পাইকারি বাজার থেকে আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বিশেষ করে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বাজারে আদাসহ বেশ কিছু মসলার দাম বেড়েছে।

আরও পড়ুন: বছরের ব্যবধানে আদার দাম বেড়েছে তিনগুণ

মসলা ক্রেতা সেলিম মিয়া বলেন, কোরবানি ঈদে তো বেশি মসলার দরকার পড়ে। তাই বাজারে মসলা নিতে এসেছি। কিন্তু মসলা বাজারে আদার যে দাম বেড়েছে তা আমাদের খুব কষ্টের হয়ে গেছে। তবুও তো কোরবানির জন্য বাড়তি দামে আদাসহ বিভিন্ন মসলা কিনেছি। প্রতি কেজি আদা ৩৬০ টাকা দরে কিনেছি। যে আদা এক সপ্তাহ আগে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

আরেক ক্রেতা রশিদ মিয়া বলেন, যেভাবে দিনদিন প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ছে তা এখন জনসাধারণের জন্য খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত পণ্য মজুদ করে দাম বাড়িয়ে বাজারে বিক্রি করছেন। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ ক্রেতারা।

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ জানান, ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাজারে প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারী করছেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।

রাজীবুল হাসান/আরএইচ/এএসএম