পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে পর্যটকের পদচারণায় মুখর থাকার কথা পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। আশানুরূপ পর্যটকের দেখা মেলেনি এবারের ঈদেও।
বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় এবং কাছের জেলা-উপজেলা থেকে কিছু সংখ্যক পর্যটক এসেছেন, তা-ও সংখ্যায় কম। পর্যটক না আসায় হতাশ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
বোট চালক শের আলী বলেন, ‘গত রমজানের ঈদে তেমন পর্যটক আসেনি। তখন হ্রদে পানিও কম ছিল। এবার হ্রদে পানি বেড়েছে ভালোই। তাই আশা করেছিলাম পর্যটক হবে কিন্তু হতাশ হলাম। ঈদের দিনসহ এ পর্যন্ত কোনো বুকিং পেলাম না। শুধু আমি না। কেউ বুকিং পাচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: ছুটির দিনে হালদার পাড়ে, যা আছে দেখার
আবাসিক হোটেল রাফির ব্যবস্থাপক আশিক আহমেদ বলেন, ‘গত রোজার ঈদে বুকিং কম ছিল। ভেবেছিলাম এবার বুকিং হবে মোটামুটি। কিন্তু তেমন কোনো বুকিং হয়নি। গত ঈদের থেকেও খারাপ অবস্থা এবার।’
বার্মিজ মার্কেটের তন্দ্রা স্টোরের ইশা চাকমা বলেন, ‘আমাদের ব্যবসা পর্যটক নির্ভর। পর্যটক এলে তারা যাওয়ার সময় কিছু জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যান। ঈদে ভেবেছিলাম পর্যটক আসবে। ব্যবসা কিছুটা ভালো হবে। কিন্তু পর্যটকের তেমন দেখা নেই। গত ঈদের চেয়েও খারাপ বলে মনে হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বর্ষায় রূপ ফিরছে হাকালুকি হাওরে, থই থই করছে পানি
রাঙ্গামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ‘আশা করেছিলাম এবার ভালোই ট্যুরিস্ট আসবে। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে আশানুরূপ পর্যটক হয়নি। ঈদের আগে ৫০ শতাংশ বুকিং ছিল। বর্তমানে আমাদের হোটেল ও মোটেলে ৬০ শতাংশ বুকিং আছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারি ছুটি শেষ হয়ে গেলেও স্কুল-কলেজগুলো এখনো বন্ধ আছে। তাই আশা করছি, আগামী কয়েক দিনে পর্যটক উপস্থিতি বাড়তে পারে।’
সাইফুল উদ্দীন/এসইউ/জেআইএম