দেশজুড়ে

‘কাঁচা ঝালের দাম এতো কুনুদিন দেকিনি’

চুয়াডাঙ্গার বাজারে কাঁচামরিচের দাম হঠাৎ বাড়লেও একদিনের ব্যবধানে তা অর্ধেকে নেমেছে। শনিবার (১ জুলাই) পাইকারি বাজারে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। রোববার (২ জুলাই) ৩৫০ থেকে ৪৭৫ টাকার মধ্যে ওঠানামা করতে দেখা গেছে।

আড়তদাররা বলছেন ঈদের কারণে আমদানি কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছিল। তবে আমদানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম কমতে শুরু করেছে। চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

চুয়াডাঙ্গা শহরের নিচের বাজারে (কাঁচামাল পট্টি) কাঁচামরিচ কিনতে আসা খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘কাঁচামরিচের দামের যে ঊর্ধ্বমুখী তাতে গত কয়েকদিন ভয়েই কিনিনি। আজ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের দাম অন্য সব পণ্যকে ছাড়িয়ে গেছে। তবে আজ দাম কিছুটা কমেছে।’

একই বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা মহসীন আলী বলেন, ‘গরম ও বৃষ্টিপাতের কারণে কাঁচামরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। ঈদের কারণে আমদানিও বন্ধ ছিল। এতে পণ্যটির দাম বেড়েছে। তবে গতকালের চেয়ে আজ মোকামে কাঁচামরিচের দাম কিছুটা কম। ৬০০ টাকার মরিচ আজ ২০০ টাকা কম হয়ে ৪০০ টাকা হয়েছে। এ সপ্তাহে আরও কমবে।’

কাঁচামালের আড়তদার মাজিদ হোসেন কিটু জাগো নিউজকে বলেন, ‘কাঁচামালতো আমদানি বাড়লে দামও পড়ে যাবে। তবে আমার জীবনে কাঁচা ঝালের (মরিচ) দাম এতো কুনুদিন দেকিনি (দেখিনি)।’

চুয়াডাঙ্গা কাঁচামাল আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও আমদানিকারক শাহ আলম বলেন, তুলনামূলকভাবে কাঁচামরিচের দাম কমেছে। আশা করি দু-একদিনের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আমরা বাজার মনিটরিং অব্যাহত রেখেছি। ব্যবসায়ী ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার কাজ চলছে।

 

হুসাইন মালিক/এসআর/জিকেএস