দেশজুড়ে

বকেয়া ৭ লাখ, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার জন্মনিবন্ধন সার্ভার বন্ধ

জন্মনিবন্ধন ও সংশোধন ফি বাবদ প্রায় সাত লাখ টাকার বিল বকেয়া থাকায় কিশোরগঞ্জ পৌরসভার জন্মনিবন্ধন সংশোধন সার্ভার একমাস ধরে বন্ধ রয়েছে। সার্ভার বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরবাসী।

কিশোরগঞ্জ স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান টাকা বকেয়া থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। দুইমাস ধরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জন্মনিবন্ধন ও সংশোধন ফি জমা নেওয়া হচ্ছে। তবে এর আগের নিবন্ধন ও সংশোধনের ফি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছেই জমা হতো। সেই ফি বাবদ প্রায় সাত লাখ টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। গত ৩ জুন পৌরসভার জন্মনিবন্ধন ও সংশোধনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মদিনা আক্তার হজে গেলে আইডিটি পরিবর্তন করতে গিয়ে আগের বকেয়ার বিষয়টি সামনে আসে। এরপর ১১ জুন থেকে জন্মনিবন্ধন ও সংশোধন সার্ভার বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা।

জন্মনিবন্ধন ও সংশোধন কার্যক্রম করেন পৌরসভার কম্পিউটার অপারেটর জান্নাতুল লোভা। তিনি জানান, প্রতিদিন গড়ে ৫০-৬০টি নতুন নিবন্ধন ও সংশোধনের আবেদন আসে। ১১ জুন থেকে ৪০০টি সংশোধন ও নতুন আবেদন জমা হয়ে রয়েছে।

সেবা নিতে এসে অনেকের মতো ফিরে যেতে হয়েছে পৌর শহরের নগুয়া এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এম এ আজিজকে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত ২১ জুন আমার মেয়ের জন্মনিবন্ধনের জন্য আবেদন করে বিল পরিশোধ করি। তবে পৌরসভার জন্মনিবন্ধন ও সংশোধন সার্ভার বন্ধ থাকায় এখনো কাজটি করতে পারিনি।’

পৌরসভার গাইটাল এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহানা আক্তার। তার ছোট ভাই জাহিদুল ইসলাম তাকরিমের জন্মনিবন্ধনে মায়ের নাম পরিবর্তন করতে এসেও সার্ভার বন্ধ দেখায় ঘুরে গেছেন। জরুরি ভিত্তিতে সংশোধন করতে হবে। কিন্তু সার্ভার বন্ধ থাকায় তিনি তা করতে পারছেন না।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার প্রায় সাত লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। বকেয়া বিল পৌরসভাকেই পরিশোধ করতে হবে। বকেয়া বিল পরিশোধ না করা পর্যন্ত নতুন আইডি তৈরি করা যাচ্ছে না। যে কর্মকর্তা হজে গিয়েছেন তিনি এলেই পুনরায় তার আইডি থেকে কার্যক্রম চালানো যাবে।

তবে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া বলেন, ‘আমাদের কোনো বকেয়া নেই। জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। তবে সার্ভারের সমস্যার কারণে তা বন্ধ রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, জন্মনিবন্ধন ও সংশোধনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মদিনা আক্তার হজে রয়েছেন। তাই কার্যক্রমে সমস্যা হচ্ছে। তবে বিষয়টি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।

এসকে রাসেল/এসআর/জিকেএস