পূর্ব শক্রতার জেরে নাটোরে পৌর যুবলীগ নেতার ডান হাতের কবজি কেটে নিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকেরা। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত যুবলীগ নেতার নাম মিঠুন আলী। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
রোববার (২৩ জুলাই) দিনগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের বলারীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মিঠুন নাটের পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাত ৯টার দিকে শহরের ভবানীগঞ্জ মোড়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কার্যালয় থেকে ১০-১২ জন নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন মিঠুন আলী। পথে বলারীপাড়ায় এলাকায় ২০-৩০ জন দুর্বৃত্ত তাদের ঘিরে ফেলে। এসময় কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। এক পর্যায়ে মিঠুনের চোখে মরিচের গুঁড়ো মেশানো পানি ছুড়ে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে প্রতিপক্ষের লোকেরা। এতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার ডান হাতের কবজি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
হামলায় জাহিদুল (৩৬), আব্দুল্লাহ আল রাব্বি (২৭), বকুল মিয়া (৩৬), জাহিদুল (৩৪) ও স্বপন (২৪) নামের আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। মিঠুনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, মিঠুনের ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহত অন্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জেলা যুবলীগ সভাপতি বাশিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া জাগো নিউজকে জানান, দলের নেতাকর্মীদের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে।
এ হামলার ঘটনায় মিঠুনের পরিবার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানকে দায়ী করেছেন। তবে নিজের দায় অস্বীকার করে শরিফুলের দাবি, সাবেক কাউন্সিলর নান্নু শেখ ও মিঠুন আলীর দ্বন্দ্বের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটছে। তিনি এসব ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে নাটোর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম জাগো নিউজকে বলেন, হামলার সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।
অভিযোগ আছে, গত ১৬ মে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর নান্নু শেখকে কুপিয়ে জখম করেন মিঠুনের সমর্থকরা। স্থানীয়দের ধারণা, এর জেরেই নান্নুর সমর্থকরা মিঠুনের ওপর হামলা চালিয়েছে।
রেজাউল করিম রেজা/এমকেআর