সবে মুখে কথা ফুটেছে। বয়স পাঁচের কোটা ছাড়িয়েছে হয়ত। তবুও রংতুলি হাতে নিয়ে দিব্যি আঁকতে বসেছে মিরপুর থেকে আসা শিশু ওবায়েদ। অনেকটাই বেখেয়ালি মনেই কাগজে তুলির আঁচড় কাটছে। ফ্রেমে সাদা পাঞ্জাবি আর পাজামার ছবি এঁকে বিশাল দেহী এক মানুষের রূপ দিল। খানিক পরেই কালো কোর্টের রূপায়ন। ছবির চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা দিতেও ভুল হলো না। আর তাতেই যেন বঙ্গবন্ধু জীবন্ত হয়ে উঠলেন।বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশুদিবস উপলক্ষে ধানন্ডির ৩২ নম্বরে আয়োজন করা হয় হয় শিশু কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে শিশু কিশোররা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।অংশ নেয় শিশু শিল্পীদের কারো কারো হাতে বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধসহ নানা বিষয় গুরুত্ব পেলেও বঙ্গবন্ধু-ই ছিল মূল উপলক্ষ্য। অধিকাংশ ক্ষুদে শিল্পির হাতেই বঙ্গবন্ধুর চিত্র ফুটে ওঠে। বিশেষ করে ৭ মার্চের ভাষণরত বঙ্গবন্ধু, জনতার মাঝে বঙ্গবন্ধু, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফুলের মালা পরে বঙ্গবন্ধু-এমনই শত শত ছবিতে তুলে ধরা হয় জাতির জনকের সংগ্রামী জীবন।কথা হয়, ক্ষুদে চিত্রাকর নাহিয়ান-এর সঙ্গে। বলে, আমি বাংলাদেশের পতাকা এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি ভালো আঁকতে পারে। আমরা বন্ধুরাও বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকতে পারে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকা থেকে এসেছেন শামীমা আখতার। সঙ্গে ১১ বছরের মেয়ে তুষা। শামীমা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু-ই তো সবার পরিচিত মুখ। আর তার ছবি আঁকতেও বাচ্চারা বেশ উৎসাহবোধ করে। মেয়েকেও আজ বঙ্গবন্ধুর ছকিব আঁকতে বলেছি। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমিটির সভাপতি শিল্পী হাশেম খান, কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান, সদস্য মনিরুজ্জানমান, আশরাফুল আলম পপলু, স্থপতি ইকবাল হাবিব প্রমূখ। এএসএস/এসকেডি/পিআর